আজ : রবিবার ║ ১৯শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ : রবিবার ║ ১৯শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║৩রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ║ ২৭শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

ইসলামী মূল্যবোধে দেশকে উজ্জীবিত করতে ওলামায়ে কেরামদের ঐক্য অপরিহার্য: মুহাম্মদ শাহজাহান

দেশচিন্তা ডেস্ক: ইসলামী মূল্যবোধে দেশকে উজ্জীবিত করতে ওলামায়ে কেরামদের ঐক্য অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম-৯ আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ডা. এ কে এম ফজলুল হকের সমর্থনে ওলামা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ওলামা বিভাগ চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি মাওলানা মমতাজুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত আমির পরিবেশবিদ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, বাইতুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ ড. সাইয়েদ আবু নোমান, নগর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি, চট্টগ্রাম-৯ আসন পরিচালক ফয়সল মোহাম্মদ ইউনুস ও চট্টগ্রাম মহানগরীর সাংগঠনিক সম্পাদক, চট্টগ্রাম-৯ আসনের প্রার্থী ডা. এ কে এম ফজলুল হক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ শুক্রবার স্বাক্ষরিত হয়েছে। এটির আইনী ভিত্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নভেম্বরের মধ্যে গণভোট অনুষ্ঠানের ব‍্যবস্হা করা জরুরি।
মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ঐক্য প্রতিষ্ঠায় উলামায়ে কেরামগণ বেশি ভূমিকা রাখতে পারবেন। শহিদ অধ্যাপক গোলাম আজম, শহিদ আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, শহিদ মতিউর রহমান নিজামী ইসলামের ঐক্য প্রতিষ্ঠায় সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করে গেছেন। এই ঐক্য নষ্ট হতে দেয়া যাবে না।

তিনি বলেন, দ্বীনের পরিপূর্ণ প্রতিচ্ছবি হিসেবে উলামায়ে কেরামদের সমাজে পেশ করা উচিত।

মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, দেশের সব শ্রেণির মানুষ ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে এখন ধারণা তৈরি হয়েছে যে,দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে সৎ-যোগ্য লোকের পার্লামেন্ট অপরিহার্য । আগামীর বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিতে উলামায়ে কেরামদের ভূমিকা পালন করতে হবে। এখন থেকে আদর্শিক নেতৃত্বের ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, খেদমতে দ্বীনের ব্যাপারে অনেকে ব্যাপকভাবে ভূমিকা পালন করি। কিন্তু ইকামাতে দ্বীনের ব্যাপারে সেভাবে ভূমিকা পালক করতে পারি না। অথচ ইকামাতের মধ্যে খেদমতে দ্বীন রয়েছে। সংগঠনের মাধ্যমে সকলকে অগ্রসর হয়ে আসতে হবে। এভাবে আসলে জনপদের মানুষ দলে দলে ইকামাতে দ্বীনের কাজে এগিয়ে আসবে।

মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, গুরুত্বপূর্ণ চারটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ নির্বাচনে যেই বার্তা তরুণরা দিয়েছে তা নতুন বাংলাদেশ গঠনে গোটা জাতিকে অনুপ্রাণিত করেছে। জাতীয় নির্বাচনে উলামায়ে কেরামগণের ঐক্যের অর্থবহ বার্তা পৌঁছে দিতে পারলে পরিবর্তনকামী মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাবে এবং তারুণ‍্যসহ জনআকাংখার নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানের পথ সুগম হবে ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম দ্বীনকে বিজয়ী করতে আগামী নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা মার্কায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানান।

অধ্যক্ষ ড. সাইয়েদ আবু নোমান বলেন, ওলামাদের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। আপনারা রাষ্ট্রের সূর্য সন্তান। আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রত্যেক জুমায় নির্বাচনের ব্যাপারে দিক নির্দেশনা দিতে হবে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে ডা. ফজলুল হকের অবদান অপরিসীম। তাঁর মতো যোগ্য নেতৃত্ব ক্ষমতায় গেলে দেশের মানুষ উপকৃত হবেন।

ফয়সল মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা নৈতিক চরিত্রবান। দেশ, সমাজ পরিচালনার জন্য এরা অত্যন্ত যোগ্য। তাই একটি দল জামায়াতে ইসলামীকে ভয় পেতে শুরু করেছে। তারা পিআর পদ্ধতির নির্বাচনকে ভয় পাচ্ছে। তারা জোর করে ক্ষমতায় যেতে চাচ্ছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে তরুণদের কাছে তাদের পরাজয় হবে।

ডা. এ কে এম ফজলুল হক, সমাবেশে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মাওলানা মামুনুর রশিদ নুরী, হাফেজ মাওলানা আবু তৈয়ব, মুহাদ্দিস আহমদুর রহমান নদভী, মাওলানা সলিমুল্লাহ হাবিবী, মাওলানা শহীদুল ইসলাম, মাওলানা মো. ফরিদ উদ্দিন, আমির আমির হোসাইন প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ মুহাম্মদ ইলিয়াস আজম। সঞ্চালনা করেন মাওলানা মোহসেন আল হোসাইনী ও মাওলানা মুহাম্মদ ফেরদৌস। কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মাওলানা মাহফুজুর রহমান মিনহাজ।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আজকের সর্বশেষ সংবাদ