আজ : সোমবার ║ ১৩ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ : সোমবার ║ ১৩ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║২৮শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ║ ২১শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

নভেম্বরেই গণভোট চেয়ে ইসির কাছে প্রস্তাব জামায়াতের

দেশচিন্তা ডেস্ক: জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন নয়, আগামী নভেম্বর মাসে আলাদাভাবে গণভোট আয়োজনে নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ মো. আব্দুল্লাহ তাহের এই কথা জানিয়েছেন।

জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, গণভোট আলাদা করার প্রস্তাব আমরা নির্বাচন কমিশনকে দিয়েছি। এছাড়া ভোটার তালিকা ও পিআর পদ্ধতি নিয়ে আমাদের কথা হয়েছে।

বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব উপস্থিত ছিলেন। জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ মো. আব্দুল্লাহ তাহেরের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে এএইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ, অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার, মতিউর রহমান আকন্দ বৈঠকে অংশ নেন।

আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ইসির সঙ্গে গণভোটের বিষয়ে কথা হয়েছে। আমরা বলেছি, এটি আলাদা হতে হবে। আলাদা করার প্রস্তাব দিয়েছি, তাদের প্রস্তুতি নিতে বলেছি। একসাথে হলে সমস্যা হবে। কেন্দ্র দখল হলে রিফর্মও দখল হয়ে যাবে। একই দিনে ভোট হলে রিফর্ম গুরুত্ব হারাবে। গ্রামের অনেকে রিফর্মের ব্যালট বাড়িতে নিয়ে যাবে। গণভোট নভেম্বর চাই আমরা।

এক দিনে দুই ভোটের ব্যাপারে সরকার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের সক্ষমতা আমাদের আছে বলে জানিয়েছে ইসি।

আলাদা হলে খরচের একটা বিষয় আছে, এ বিষযটি উত্থাপন করা হলে জামায়াত নেতা বলেন, এটা তো খুব সিম্পল। কাজেই বড় ধরনের ব্যয় হবে না। ব্যালট বাক্স তো ওটাই থাকবে। শুধু ব্যালট, খাওয়া দাওয়া এসবের ব্যয় হবে। এটা বললে স্থানীয ভোটসহ সব একসঙ্গে হতে হবে।

আলাদা হলে তো ভোট কম পড়ার আশঙ্কা রয়েছে এবং যে সময় আছে এতে কোনো প্রভাব পড়বে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা মনে করি একই দিন গণভোট হলে রিফর্মসের ইস্যু মাইনর হয়ে যাবে। কারণ সবাই নিজের দলের প্রার্থীকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। আরেকটা ভোটের জন্য ভোটারকে চাপাচাপি করবে। বরং আলাদা হলে মানুষ ভোট দেবে। আবার ঝামেলা হলে আমরা তো জেনে যাবো। আর একসঙ্গে দুটি ভোট হলে এবং ঝামেলা হলে আম ছালা দু’টোই যাবে। আমরা নভেম্বরে গণভোট করার জন্য বলেছি।

তাহের বলেন, আমাদের অতীতে অনেকগুলো গণভোট হযেছে। ২১ দিন, ১৭ দিনের তফাতেও গণভোট হয়েছে। এখানে মার্কা নেই, মিছিল মিটিংয়ের কিছু নেই। তাই সংসদ নির্বাচনের আগে গণভোট হলে কোনো সমস্যা হবে না।

জামায়াত নেতা বলেন, গণভোট নিয়ে কমিশন বলেছে অফিসিয়ালি কোনো আলোচনা করেনি। সিদ্ধান্ত নেয়নি। একজন কমিশনার বলেছেন, আমি কমিশনার হিসেবে ওই মন্তব্য (এক সঙ্গে দুই নির্বাচন) করিনি। ব্যক্তিগত মতামত দিয়েছি। তার এই বক্তব্য আমরা বিশ্বাস করেছি।

পিআর বিভিন্ন দেশে বিভিন্নভাবে এক্সিকিউশন হচ্ছে এমন বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা সিদ্ধান্তের বিষয়। ইসি বলছে, সরকার সিদ্ধান্ত নিলে যা যা করা প্রয়োজন আমরা সক্ষম আছি। তারা সে হিসেবেই প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা বলেছি নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ যেন লটারির মাধ্যমে হয়।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আজকের সর্বশেষ সংবাদ