
দেশচিন্তা ডেস্ক: বিজয়া দশমীর আনুষ্ঠানিকতা শেষে চট্টগ্রাম শহরের অদূরে পতেঙ্গা সাগরপাড়ে প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুর থেকে মহানগরীর বিভিন্ন পূজামণ্ডপ থেকে ট্রাকবাহী প্রতিমা নিয়ে ভক্তরা সৈকতে আসতে শুরু করেন। দুপুর গড়াতেই বিসর্জন অনুষ্ঠান ভক্ত-অনুরাগীদের মিলনমেলায় রূপ নেয়।
ঢাক-ঢোল বাজিয়ে, তেল-সিঁদুর মেখে, পান-মিষ্টি মুখে দিয়ে দেবী দুর্গাকে বিদায় জানান ভক্তরা। ভক্ত-অনুরাগীদের চোখেমুখে আনন্দ-বেদনার মিশ্র আবেগ। বৈরী আবহাওয়ার কারণে কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়লেও উচ্ছ্বাসে ভাটা পড়েনি।
হিন্দু পঞ্জিকা মতে, এ বছর দেবী দুর্গা এসেছেন গজে (হাতি) চড়ে, ফিরছেন দোলায় চড়ে। বিশ্বাস মতে, গজে আগমন সুখ-সমৃদ্ধি ও শস্যশ্যামলার প্রতীক হলেও দোলায় বিদায় মানে মহাবিপর্যয়ের আশঙ্কা।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সকাল থেকেই চট্টগ্রামের পূজা মণ্ডপগুলো থেকে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য ভক্তরা পতেঙ্গা সাগরপাড়ে জড়ো হন। নগরীর জেএম সেন হলসহ ১৬টি থানার ২৯২টি পূজামণ্ডপে প্রতিমা পূজা হয়। জেলার ১৫ উপজেলায় মোট পূজামণ্ডপের সংখ্যা ২ হাজার ২০২টি। এর মধ্যে প্রতিমা পূজামণ্ডপ এক হাজার ৫৮৫টি, ঘটপূজা ৬১৭টি।
পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মো. সুলতান আহসান উদ্দীন বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিমা বিসর্জন চলছে। নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে সৈকত ও আশপাশ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পতেঙ্গা সাগরপাড়ে দুপুরে থেকে উৎসবের আবহ তৈরি হয়। সাধারণ মানুষ, ধর্মপ্রাণ ভক্ত আর পর্যটক মিলেমিশে দেবীকে বিদায় জানান আগামী বছরের আগমনের আশায়।