আজ : বুধবার ║ ১৫ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ : বুধবার ║ ১৫ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║৩০শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ║ ২৩শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

পাহাড়ে মানবপাচারকারীদের গুলি বর্ষণ, মালয়েশিয়াগামী ৮৪ জন উদ্ধার, আটক ৩

দেশচিন্তা ডেস্ক: কক্সবাজারের টেকনাফে মানব পাচারকারীদের পাহাড়ি আস্তানায় বিজিবি-র‌্যাবের যৌথ অভিযানে ৮৪ জন মালয়েশিয়াগামীকে উদ্ধার করেছে। এসময় মানব পাচারকারীর চক্ররা গুলি বর্ষণ চালায়। এ ঘটনায় তিন পাচারকারী চক্রকে আটক করা হয়েছে।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২ টার দিকে টেকনাফ -২ বিজিবির ব্যাটালিয়নে যৌথ সংবাদ সম্মলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এসময় উপাস্থিত ছিলেন টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আশিকুর রহমান এবং কক্সবাজার র‌্যাব ১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল কামরুল হাসান।

আটক মানব পাচারকারী সদস্যরা হলেন, টেকনাফের বাহারছড়ার বাসিন্দা আব্দুল্লাহ (২১), একই এলাকার সাইফুল ইসলাম (২০), ও মোঃ ইব্রাহিম (২০)

র‌্যাবের অধিনায়ক লে. কর্নেল কামরুল হাসান বলেন, ‘টেকনাফের বাহারছড়া কচ্ছপিয়ায় গহীন পাহাড়ে একটি পাচারকারী চক্র মালয়েশিয়া-থাইল্যান্ডে নেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কয়েকজন ভুক্তভোগীকে আটক রাখা খবরে গতকাল রাতে বিজিবি-র‌্যার সদস্যরা প্রথমে বাহারছড়া পাহাড়ি এলাকা থেকে একজন পাচারকারীকে আটকসহ চার ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়। তাদের লোমহর্ষ অভিজ্ঞতার বর্ণনা এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ভিত্তিতে পাহাড়ে আমরা সমন্বিতভাবে বৃহৎ যৌথ অভিযান পরিচালনা করি। এতে আলাদাভাবে পাচারকারীদের তিনটি পাহাড়ি আস্তানা থেকে ৮৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদেরকে পাচারের জন্য জড়ো করা হয়েছি।

তিনি বলেন, ‘ বিজিবি ও র‌্যাবের ১২ ঘন্টার দুঃসাহসিক অভিযানে ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটার গান ও একটি একনলা বন্দুক উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও, তাদের আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুইটি দেশীয় রামদা ও একটি চাকু, ৩টি অস্ত্রের চেম্বার থেকে ৩ রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলছে।’

বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আশিকুর রহমান বলেন, ‘সম্প্রতি সময়ে টেকনাফে পাহাড়ি মানব পাচারের বেশ কয়েকটি গ্রæপ সক্রিয় হয়েছে। ফলে আমরা টহল-নজরদারীর মাধ্যমে পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করছি। এরই অংশ হিসেবে আমরা কয়েকটি পাহাড়ে মানবপাচার চক্রের আস্তানায় হানা দিয়ে সমুদ্রপথে মিয়ানমার হয়ে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে জড়ো করা ৮৪ জনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। তাদের মধ্যে যেমন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা রয়েছে, তেমনি বাংলাদেশি নাগরিকও রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ বাংলাদেশে অবস্থানরত হোসেন, সাইফুল ও নিজাম নামের তিন ব্যক্তি এই আন্তর্জাতিক চক্রের মূলহোতা। তাদের অধীনে রয়েছে বিভিন্ন শাখা-প্রশাখায় বিভক্ত দালালদের একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক রয়েছে। এছাড়া স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ ক্যাম্পের চক্রও জড়িত রয়েছে। তাদের আমরা ধরতে কাজ করছি।’

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আজকের সর্বশেষ সংবাদ