
দেশচিন্তা ডেস্ক: ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়েতে চলন্ত বাসে ডাকাতির চেষ্টার অভিযোগে দুজনেক গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত দুইজন হলো খাগড়াছড়ি গুইমারা এলাকার আব্দুল মালেকর ছেলে মনির (২০)। কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের আতাপাড়া এলাকার আব্দুল হান্নানের ছেলে ওমর ফারুক হৃদয় (২৪)।
জানা যায়, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ প্রাইভেট কারের যাত্রী শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে কল করে জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ের চট্টগ্রামুখী সীতাকুণ্ড থানা এলাকায় আল-আরাফাত পরিবহণের একটি চলন্ত বাসে ডাকাতি হচ্ছে। তিনি বাসের যাত্রীদের চিৎকার-চেঁচামেচির আওয়াজ শুনতে পেয়েছেন।
৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল মামুনুর রশিদ এমন তথ্য পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কুমিরা হাইওয়ে থানায় বিষয়টি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জানায়। কুমিরা হাইওয়ে থানার একটি দল সীতাকুণ্ড থানার তেরিয়ালবাজারে বাসটিকে থামায়। যাত্রীদের ওপর হামলা ও বাসে ভাংচুরের অভিযোগে দুইজনকে গ্রেফতার করে।
যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে, ওমর ফারুক ও তার স্ত্রী বাসের পেছনের সীটে ঘনিষ্ঠভাবে মেলামেশা করছিলেন। এতে কয়েকজন যাত্রী তাদের ওপর বিরক্ত হয়ে নিষেধ করেন, এনিয়ে বাদানুবাদ ও হাতাহাতি হয়। পরে ওমর ফারুক ফোনে তার আত্মীয়-বন্ধুদের ডেকে আনে এবং কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার জগন্নাথদিঘীর এলাকায় ৭/৮ জন ব্যক্তি চলন্ত বাসটি থামিয়ে যাত্রীদের মারধর ও ভাংচুর করে বাস থেকে নেমে পড়ে। কিন্তু গ্রেফতারকৃত দুজন বাস থেকে নামার সুযোগ পায়নি, তাদের নিয়ে বাসটি চলতে শুরু করে। পরে ৯৯৯ থেকে অবগত হয়ে কুমিরা হাইওয়ে থানা বাসটি থামায়।
পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রেফতারকৃতদের চৌদ্দগ্রাম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি ৯৯৯ কে এ বিষয়ে নিশ্চিত করেন।