দেশচিন্তা নিউজ ডেস্ক:
হাজারীবাগ, ধানমন্ডি, কলাবাগান এবং নিউ মার্কেট থানা নিয়ে ঢাকা ১০ সংসদীয় আসন। ব্যারিষ্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ব্যাতিত অতীতে কোন সংসদ সদস্য একাধিকবার এই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হননি। আওয়ামী লীগের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসন এটি। বরাবরের মতো এবারও আসনটি দখলে রাখতে চায় আওয়ামী লীগ। আসনটির বিভিন্ন বিগত সময়ের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা হয়েছে সাবেক ছাত্রনেতা ছোটন ভূঁইয়ার সাথে। আলাপচারিতার কিছু অংশ এখানে তুলে ধরা হলো।
দেশচিন্তা: ঢাকা ১০ আসনটি এতো গুরুত্বপূর্ণ কেন ?
ছোটন ভূঁইয়া: এ আসনটিতেই অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয় ও সুধাসদন। এখানে রয়েছে আন্দোলন সংগ্রামের ঐতিহাসিক স্থান রাসেল স্কয়ার। আসনটি আওয়ামী লীগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আওয়ামী পরিবারের সাথে এ আসনের প্রতিটি মানুষের পারিবারিক সম্পর্ক বলা যায়। যেটা আমাদের এমপি শেখ ফজলে নূর তাপসের কারণে হয়ে উঠেছে। তিনি বিগত সময়ে এলাকার লোকজন নিজের পরিবারের সদস্যের মতো করে নিয়েছে।
দেশচিন্তা: বিগত দশ বছরে এ আসনে উল্লেখযোগ্য কি কাজ হয়েছে?
ছোটন ভূঁইয়া: বিগত ১০ বছরে যেভাবে এলাকার উন্নয়ন হয়েছে অতীতে কোন সংসদ সদস্য সেটার ১০ ভাগও করতে পারেনি। এলাকার স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, মসজিদ, মন্দির, ধানমন্ডি লেকসহ রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। হাজারীবাগে শেখ রাসেল উচ্চ বিদ্যালয়, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কলেজ, ফায়ার ব্রিগেড, শহীদ শামসুন্নেছা আরজু ‘মনি মা ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্র, নীলক্ষেতে শহীদ আমিনউদ্দিন চৌধুরী প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ উল্লেখযোগ্য। তাছাড়া এলাকার মানুষের কল্যাণে অনেক কাজ করা হয়েছে।
দেশচিন্তা: মাদক নিমূলে শেখ ফজলে নূর তাপসের কি পদক্ষেপ ছিলো?
ছোটন ভূঁইয়া: সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, মাদক এগুলো দেশের জন্য বড় হুমকি। এসবের বিরুদ্ধে শেখ ফজলে নূর তাপস জিরো টলারেন্সে ছিলেন। যার কারণে আজ অনেকটা সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মাদকমুক্ত ঢাকা ১০ আসন। প্রতিটি এলাকাভিত্তিক মাদক নিমূলে কমিটির মাধ্যমে কাজ করা হয়। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মাদকমুক্ত করতে অনেক কার্যক্রম নেওয়ার কারণে আজকে সবাই শান্তিতে ঘুমাতে পারছেন। ভবিষ্যতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
দেশচিন্তা: এলাকার লোকজন ফজলে নূর তাপসের উপর কতটা আস্থা রাখতে পেরেছে বলে আপনি মনে করেন?
ছোটন ভূঁইয়া: ঢাকা ১০ আসনের ৬টি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের উপর জরিপ করলে দেখা যাবে ৮০% ভোটারই শেখ ফজলে নূর তাপসকে তাদের সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করতে চায়। আমার বিশ্বাস এলাকার লোকজন তাপস ভাইয়ের উপর পূর্ণ আস্থা রেখেছেন। আস্থার কারণেই এলাকাবাসী বাবার ওনাকে বারবার নির্বাচিত করছেন। যার কারণে উনি এলাকাবাসীর সাথে একটি নিভিড় সম্পর্ক তৈরি করতে পেরেছেন।
দেশচিন্তা: দলীয় কোন্দল নিরসনে ফজলে নূর তাপসের ভূমিকা কি ছিলো?
ছোটন ভূঁইয়া: সারা বাংলাদেশে বিভিন্ন এলাকায় দলীয় কোন্দল থাকলেও ঢাকা ১০ আসনে দলীয় কোন কোন্দল নেই। স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ এবং অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন একত্রে পরিবারের মতো মিলেমেশে আছেন। এমনকি নিয়মিত সম্মেলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনকে একটি শৃঙ্খলার মধ্যে আনা হয়েছে। এমপি ফজলে নূর তাপসের আন্তরিকতা ও দলীয় লিডারশিপের কারণেই সেটা সম্ভব হয়েছে।
দেশচিন্তা: আগামীতে ফজলে নূর তাপস এমপি নির্বাচিত হলে কোন কাজগুলোর প্রতি বেশি নজর দেয়া প্রয়োজন বলে আপনি মনে করেন?
ছোটন ভূঁইয়া: দেশ এখন এগিয়ে গেছে। মধ্যম আয়ের দেশ আমাদের বাংলাদেশ। এ এগিয়ে যাওয়াতে কাজের পরিধিও বেড়ে গেছে। আগামীতে এলাকার জন্য ঠেকসই উন্নয়ন করা প্রয়োজন। তথ্য প্রযুক্তির আধুনিক সুযোগ সুবিধাকে কাজে লাগানো যায় এমন কাজের প্রতি অগ্রাধিকার দেওয়া দরকার। শিক্ষা, স্বাস্থ্য-চিকিৎসা সেবাকে সহজলব্য করা, এলাকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন তরান্নিত করা, যুব সমাজকে প্রযুক্তিগত জ্ঞানে ও দক্ষতার ব্যবস্থা করা এবং একটি ভিশন নিয়ে সুপরিকল্পিভাবে এলাকা সাজানো দরকার বলে মনে করি।