মো. দেলোয়া হোসেন, চন্দনাইশ :
চট্টগ্রাম-১৪ চন্দনাইশ-সাতকানিয়া (আংশিক) নির্বাচনী এলাকা থেকে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি’র (এলডিপি) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. কর্ণেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম’র পক্ষে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন ২০ দলীয় জোট নেতৃবৃন্দ।
২৬ নভেম্বর দুপুরে জেলা রিটানিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াছের নিকট লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি’র (এলডিপি) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. কর্ণেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম’র পক্ষে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। মনোনয়ন ফরম জমা দেয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা এলডিপি’র সভাপতি এড. কফিল উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো. শিমুল, উপজেলা এলডিপি’র সভাপতি মোতাহার মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আকতার আলম, বিএনপি’র নেতা আবু তাহের, এড. নুরুল ইসলাম, এলডিপি’র নেতা এড. নাছির উদ্দিন চৌধুরী, এড. শাহাদাত হোসেন, এড. মাহাবুবুর রহমান, এড. জাহাঙ্গীর আলমসহ ২০ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য যে, ১৯৭৬ সালে চন্দনাইশ থানা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এ আসনে ১৯৭৯ সালে ১৮ ফেব্রেুয়ারি দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মত প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন বিএনপি’র প্রয়াত ব্যারিস্টার মাহবুবুল কবির চৌধুরী। পরবর্তীতে তিনি রাষ্ট্রদূত হয়ে বিদেশে চলে গেলে ১৯৮১ সালে উপ-নির্বাচনে এলডিপি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বিএনপি থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে কর্ণেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে তিনি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রী পরিষদে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ৫ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে তিনি যোগাযোগ মন্ত্রী হিসেবে ৫ বছর দায়িত্ব পালন করে সারা দেশের ন্যায় চন্দনাইশের যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেন। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, একই বছর ১২ জুন ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে কর্ণেল অলি জয়লাভ করেন। ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি চন্দনাইশ আসন ছাড়াও সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসন থেকেও নির্বাচিত হন। ২টি আসনে জয়লাভ করার কারণে চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আসন ছেড়ে দিলে, তাঁর সহধর্মিনী মমতাজ অলি উপ-নির্বাচনে চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আসনে আ.লীগের প্রার্থী আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম চৌধুরীকে পরাজিত করে জয়লাভ করেন। পরবর্তীতে ২০০১ সালের ১ অক্টোবর ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় কর্ণেল অলি নির্বাচিত হন। একই সালের বিএনপি নেতৃত্বাধীন ৪ দলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাদের মেয়াদের শেষ দিকে কর্ণেল অলি বিএনপি থেকে বেরিয়ে ২০০৬ সালের ২৬ অক্টোবর লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৮ সালে ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এলডিপি থেকে ‘ছাতা’ প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করেন। কর্ণেল অলি প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাত ধরে চাকুরী ছেড়ে দিয়ে ১৯৭৮ সালে রাজনীতিতে যোগদান করেছিলেন। ২০ দলীয় জোট থেকে কর্ণেল অলি চট্টগ্রাম-১৪ আসনে প্রার্থী হওয়ায় চন্দনাইশের বিভিন্ন এলাকায় এলডিপি’র নেতা-কর্মীরা আনন্দ-উল্লাস প্রকাশ করেন এবং উৎসব মুখর পরিবেশে মিষ্টি বিতরণ করেন।