
দেশচিন্তা ডেস্ক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গুলশান থানার ফার্নিচার কর্মচারী পারভেজ বেপারী হত্যা মামলায় অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানের দ্বিতীয় দফায় ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) মো. জিয়াদুর রহমানের আদালত রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এদিন মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক সামিউল ইসলাম আসামির ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
অন্যদিকে আসামিপক্ষ রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। এরপর সিএমএম আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন রিমান্ড মঞ্জুর চেয়ে শুনানি করেন। পরে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আসামির জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, এই আসামি অত্যন্ত সুকৌশলে শাহজাদপুরের সুবাস্তু নজরভ্যালির সামনে উপস্থিত থেকে অর্থের যোগান দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতাকে নিবৃত্ত করার জন্য ঘটনা ঘটায়। এজাহারনামীয় ২২৩ নম্বর আসামি হওয়ায় তার নেতৃত্বে এ মামলার ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।
মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ, পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান পরিচালনা, ঘটনার অর্থের যোগানদাতা ও পরিকল্পনাকারীদের তথ্য সংগ্রহ ও গ্রেফতার, ওই ঘটনায় নেতৃত্বদানকারীদের তথ্য সংগ্রহ ও গ্রেফতার এবং অস্ত্র উদ্ধার, এই পাঁচ কারণে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
এর আগে, গত ২৯ এপ্রিল বেইলি রোড দিয়ে যাওয়ার সময় কিছু লোক সিদ্দিককে আটক করেন। মারধর করে রমনা মডেল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয় তাকে। এরপর তাকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করে রমনা মডেল থানা পুলিশ।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই গুলশান থানাধীন সুবাস্তু নজরভ্যালির সামনে বন্ধুদের সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন ফার্নিচার কর্মচারী পারভেজ বেপারী। জুমার নামাজের পর আসামিদের ছোড়া গুলিতে আহত হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পারভেজের বাবা মো. সবুজ ২ জুলাই গুলশান থানায় মামলা করেন।