
চট্টগ্রাম শহরস্থ হাটহাজারীয়ানদের সংগঠন “হাটহাজারী সমিতি, চট্টগ্রাম” হাটহাজারিতে একটি নতুন থানা “চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থানা” বাস্তবায়নের দাবী জানিয়েছে। সমিতির উপদেষ্টা প্রবীণ সাংবাদিক মঈনুদ্দিন কাদেরী সওকত, এড. মোহাম্মদ নুরুল আমীন, এড. কাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, সহ সভাপতি আলহাজ্ব শফিউল আলম সোবহানী, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এ এম জিয়া হাবীব আহ্সান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ফজলুল কাদের, সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব শফিউল আলম সিদ্দিকী, কার্যকরী পরিষদ সদস্যগণ এডভোকেট সৈয়দ এহতেশামুল হক, এডভোকেট জান্নাতুল নাঈম রুমানা, এডভোকেট সৈয়দ মোহাম্মদ হারুন, এডভোকেট হুমায়ূন কবির প্রমুখ প্রদত্ত এক যৌথ বিবৃতিতে সমিতি নেতৃবৃন্দ বলেন- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে একটি নতুন থানা স্থাপন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সময়ের দাবী, কারণ এটি ক্যাম্পাসের অভ্যন্তর এবং আশেপাশের এলাকার আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, অপরাধমূলক কার্যক্রম প্রতিরোধে সাহায্য করবে এবং দ্রুত ভিক্টিমদের উদ্ধার ও জরুরি সেবা প্রদানে সহায়তা করবে। এই নতুন থানাটি জেলা পুলিশের আওতাধীন হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও সুসংহত করবে। বর্তমানে হাটহাজারী উপজেলার মোট আয়তন ২৪৬.৩২ বর্গকিলোমিটার বর্তমানে জনসংখ্যা ও বহুগুণ বেড়ে গেছে। বর্তমানে জনসংখ্যা পাঁচ লক্ষাধিক যেখানে প্রায় এক লক্ষাধিক পরিবার বসবাস করে।পুরনো হাটহাজারী থানার পক্ষে এ বিস্তৃত এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। পুরোনো হাটহাজারী থানার অধীনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০-৪০ হাজার ছাত্র-শিক্ষক-কর্মচারীর জান মালের নিরাপত্তা দেয়া কঠিন ও অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছাত্র সংগঠনের সংঘর্ষ, স্থানীয়দের সঙ্গে দ্বন্দ্ব, হঠাৎ সৃষ্ট দাঙ্গা-এলাকায় প্রায়ই উত্তেজনা তৈরি হয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা হাটহাজারী থানার আওতায় থাকলেও, সদর থানা এর অনেক দূরে। জরুরি মুহূর্তে দ্রুত পুলিশ মোতায়ন ও অভিজান পরিচালনা করা কঠিন হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাদা থানা থাকলে দ্রুত প্রতিরোধ ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে এবং হাটহাজারী থানার উপর চাপও কমবে, ফলে পুলিশ সদস্যেরা তাদের দায়িত্ব ভালোভাবে পালন করতে পারেন।যখন থানার উপর চাপ কম থাকে, তখন পুলিশ সদস্যরা অপরাধ প্রতিরোধ ও তদন্তে আরও বেশি মনোযোগ দিতে পারে। এর ফলে অপরাধ দমনের হার বৃদ্ধি পায়।নতুন থানা সৃষ্টির মাধ্যমে বিচার ও তদন্ত প্রক্রিয়া দ্রুত হয়। কারণ, কম এলাকায় বেশি পুলিশ থাকলে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়। জনস্বার্থে অবিলম্বে পৃথক “চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থানা” বাস্তবায়ন জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। একটা পুলিশ বক্স দিয়ে এ বিশাল ক্যাম্পাস ও পার্শ্ববর্তী বিস্তীর্ণ দূর্গম এলাকার আইন শৃংখলা রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ ক্যাম্পাস রক্তে রঞ্জিত। ছাত্র শিক্ষকদের আহাজারি, কান্নার আওয়াজ বিশ্ববিদ্যালয়ের আকাশ বাতাসকে ভারী করে তুলেছে। প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে তাঁদের নিরাপত্তা দিতে। ছাত্র শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী সহ পুরো এলাকার নিরাপত্তার প্রয়োজনে জনস্বার্থে অবিলম্বে নতুন থানা —”চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থানা বাস্তবায়ন” এ সরকারকে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে।