
দেশচিন্তা ডেস্ক: চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আমদানি করা এফসিএল (ফুল কনটেইনার লোড) কনটেইনারে আরোপিত চারগুণ স্টোররেন্ট এক মাসের জন্য স্থগিত করেছে। ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর অনুরোধ ও আমদানিকারকদের স্বার্থ বিবেচনায় ২৩ আগস্ট থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ স্থগিতাদেশ কার্যকর থাকবে। তবে খালি কনটেইনারের ক্ষেত্রে এই সুবিধা প্রযোজ্য হবে না।
চলতি বছরের মার্চ থেকে চট্টগ্রাম বন্দর, ঢাকার কমলাপুর আইসিডি ও পানগাঁও আইসিটিতে চারগুণ হারে এই বাড়তি ভাড়া কার্যকর ছিল। বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, ইয়ার্ডে কনটেইনার জট কমানো ও দ্রুত ডেলিভারি নিশ্চিত করাই এ সিদ্ধান্তের মূল লক্ষ্য।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিবহন বিভাগের পরিচালক এনামুল করিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম বন্দর এবং ঢাকার কমলাপুর আইসিডিতে প্রযোজ্য, পানগাঁও আইসিটিতে চলতি বছরের ১০ মার্চ চার গুণ হারে স্টোররেন্ট আরোপ করা হয়। তবে নিরবচ্ছিন্ন সেবা প্রদান ও বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম গতিশীল রাখার স্বার্থে ২৩ আগস্ট ২০২৫ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত এফসিএল কন্টেইনারের ওপর চলমান চার গুণ স্টোররেন্ট স্থগিত করা হয়েছে। তবে খালি কন্টেইনারের ক্ষেত্রে এ স্থগিতাদেশ কার্যকর হবে না।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনসহ (বিজিএমইএ) বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের অনুরোধে বন্দর কর্তৃপক্ষ এই স্থগিতাদেশ দিয়েছে। তাই চবক আমদানিকারকদের দ্রুত তাদের কন্টেইনার ডেলিভারি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় থাকে।
এ বিষয়ে বিজিএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি ও কেডিএস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম রহমান বলেন, আমরা কখনো বাড়ানোর বিপক্ষে ছিলাম না, তবে বলেছিলাম আলোচনার মাধ্যমে করা হোক। আসলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষেরও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এনবিআর ও অন্যান্য জটিলতায় তারা অনেক সময় স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, গার্মেন্টস মালিকরা যদি সচেতন থাকেন, তবে কনটেইনার ফেলে রাখবেন না। বন্দর কর্তৃপক্ষ জট কমাতে এ উদ্যোগ নিয়েছিল। এখন এক মাসের জন্য স্থগিতাদেশ দেওয়ায় আমরা সেটিকে স্বাগত জানাই।