
নারীর স্বাধীনতা, ক্ষমতায়ন ও চলাফেরার অধিকার, নারীদের শারীরিক গতিশীলতা, আত্মনির্ভরশীলতা এবং সামাজিক সীমাবদ্ধতা ভাঙতে সহজ করেছিল- যা পরোক্ষভাবে নারী ক্ষমতায়নের পথ প্রশস্ত করে। পাহাড়ের কোল ঘেঁষে থাকা প্রতীক হিসেবে বাইসাইকেলে চড়ে স্বপ্ন জয়ে নিজ লয়ে যাতায়াতে সুবিধা গড়ে উঠেছে। বান্দরবানের থানচি উপজেলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এমন ১৪ শিক্ষার্থী পেয়েছে একটি করে বাইসাইকেল।
জেনি ত্রিপুরা ও এনি ত্রিপুরা। জমজ দুই বোন। বান্দরবানের থানচি উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরত্বে বিদ্যামনি পাড়ায় জন্ম। ২০২১ সালে বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয় তারা। দুই বোন ৫ বছর যাবত পায়ে হেঁটে ৬ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ২০২৫ সালে বিজ্ঞান বিভাগের দশম শ্রেণীতে ৮ মাস অতিক্রম করেছে।
রবিবার (১৭ আগস্ট) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ-আল-ফয়সাল বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে একটি করে বাইসাইকেল হাতে তুলে দিয়েছে। বাইসাইকেল পেয়ে জেনি ও এনি বলে, নারীর স্বাধীনতা, ক্ষমতায়ন ও চলাফেরার অধিকার, নারীদের শারীরিক গতিশীলতা, আত্মনির্ভরশীলতা এবং সামাজিক সীমাবদ্ধতা ভাঙতে সাহজ জুগিয়েছে তাদের।
একইভাবে বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৪ জন নারী শিক্ষার্থী হাতে একটি করে প্রথমবারের মতো বাইসাইকেল প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ও বলিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়সহ ৪টি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীরা বাইসাইকেলটি ব্যবহার করবে।
সহযোগী সংগঠন ডিয়াকোনিয়া বাংলাদেশ অর্থায়নের বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা বিএনকেএস এর “Organization for women & Chidten Devecoment” Ensuring Reproductive Health Rights and Gender Equality for Ethnic Hily Women in Bandarban
স্কুলের কিশোরীদের জন্য বাইসাইকেল, ফাস্ট এইভ বক্স,পানির ফির্টার, স্যানিটারি ন্যাগকিন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হয়। এ সময় সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূর মোহাম্মদ, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক যোহন ত্রিপুরা, বিএনকেএস উপ পরিচালক উবানু মারমাসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, এনজিও কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।