
আগামী নির্বাচন আয়োজনে নিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিজের প্রস্তুতি নিচ্ছে, এ অবস্থায় আসন ভাগাগভাগি নিয়ে আমাদের মধ্যে এখনও কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
রোববার (১৭ আগস্ট) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
আসন ভাগাভাগির বিষয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আসন ভাগাভাগির কোনো বিষয় নেই। যুগপৎ আন্দোলনে যারা একসঙ্গে ছিল সবাই ভোটে অংশ নেবেন। তবে এখনও আসন ভাগাভাগি নিয়ে দলে কোনো আলোচনা হয়নি। তফসিলের পর আসন ভাগাভাগির বিষয় আসবে।
ফেব্রুয়ারিতে ভোট আয়োজন নিয়ে বিএনপির এ সিনিয়র নেতা বলেন, ‘যারা বলছে ফেব্রুয়ারিতে ভোট হবে না, সেটা তাদের বিষয়। কিসের ভিত্তিতে কিংবা কোন ক্ষমতা বলে, তারা বলছে ভোট হবে না, সেটা বিএনপির জানা নেই।’
এ সময় না ভোটের বিষয়ে তিনি বলেন, না ভোটের বিষয়ে কোনো প্রস্তাব করেনি বিএনপি। আমাদের দেশে না ভোট পড়ে না বলেও জানান নজরুল ইসলাম খান।
সিইসির সঙ্গে বৈঠকে ভোট আয়োজন এবং নিরাত্তাসহ সামগ্রিকভাবে নির্বাচনী প্রস্তুতি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান বিএনপির এ সিনিয়র নেতা। বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীও উপস্থিত ছিলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, সীমানা নির্ধারণ, রাজনৈতিক দলের আচরণবিধি এবং ভোটের মাঠের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সীমানা নির্ধারণ কিসের ভিত্তিতে পুননির্ধারণ করছে সেই প্রক্রিয়া আমরা জানতে চেয়েছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে আমরা কথা বলেছি। ইসি জানিয়েছে সেনাবাহিনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে থাকবে। নির্বাচনের সময় আরও বেশি সেনা সদস্য প্রয়োজনে মোতায়েনের আশ্বাস দিয়েছেন সিইসি। প্রয়োজনে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডও মোতায়েন করা হবে বলে আমাদের জানানো হয়েছে।
প্রবাসীদের ভোট নিশ্চিতেও কথা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, সাধারণ পাসপোর্টধারীদের অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া সীমানা নির্ধারণে ভৌগলিক অখণ্ডতা, জেলার এবং ভোটার সংখ্যার ভিত্তিতে সীমানা নির্ধারণ করা হচ্ছে বলে বিএনপিকে জানিয়েছে ইসি।