
ফারুকুর রহমান বিনজু, পটিয়া প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসদরে ক্লাব রোডস্থ পটিয়া শাখা ইউনিয়ন ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে আছেন হাসান শহিদ সরওয়ার উদ্দিন(৫২)। খুব দক্ষতার সাথে প্রশংসনীয় ভাবে সুনামের সহিত ৯ মাস ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ২ মেয়ে ১ ছেলে নিয়ে সুন্দর সংসার জীবন তার ।
এমন সময় গত ৪ই আগস্ট স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে ঘুমাচ্ছেন। রাত তখন দেড়টা এমন সময় মুবাইলের মেসেজ টোন বেজে ওঠে, তড়িঘড়ি করে মেসেজ পড়ে ঢলে পড়ে বিছানায়। “বোর্ডের সিদ্ধান্তে আপনাকে টার্মিনাট করা হয় “মেইলটি পড়ে পরিবারে কান্নার রোল পড়ে যায়। দ্রুতগতিতে হাসান সাহেবকে চট্টগ্রাম নগরীর বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।দায়িত্বরত চিকিৎসক বলেন, হঠাৎ অতিরিক্ত মানসিক চাপে স্টোক করেন।ঐ দিন ৫৮জন ব্যাংক কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করেন,তার মধ্যে হাসান সাহেব একজন।
ব্যাংক কর্তৃপক্ষের আকস্মিক এই সিদ্ধান্তে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন।
তার বড মেয়ে নুরজাত সরওয়ার ঐশী (১৪) ৮ম শ্রেণীতে পড়েন।তিনি বলেন আমার বাবা একজন সৎ।বিনা অপরাধে চাকরিচ্যুত করা এটা অন্যায়।বাবাতো কোন অন্যায় করেনি।আমাদের এখন ১টি ভয়, যদি বাবাকে হারিয়ে ফেলি।দ্বিতীয় মেয়ে সুমাইয়া হাসান সুমা (১১) ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে, তিনি বলেন,বাবার কিছু হলে আমাদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাবে।বাবাকে হারিয়ে ফেললে আমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।
হাসান সাহেব বলেন, সুপারিশ ছাড়া নিজ মেধায় চাকরি পেয়েছি।আমার বাড়ি কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার বদরখালি ইউনিয়নে।বদরখালিতে ১৩বছর,এরপর পটিয়াতে যোগদান করি।বদরখালিতে ৪বার ভাইভা পরিক্ষা দিয়েছিলাম।কেন যে বিনা অপরাধে, বিনা অজুহাতে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া, বিনা নোটিশে আমাকে চাকরিচ্যুত করলেন।
হাসান সাহেব ও তার পরিবার এর দাবি চাকরিচ্যুত ব্যাংকারদের চাকরি ফিরিয়ে দিয়ে তাদের পরিবার এর সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার সুযোগ দিতে ব্যাংক কর্তপক্ষের নিকট করুণ আকুতি।