
নিজস্ব প্রতিবেদক:
শ্রাবণের শেষ মুহূর্তে বর্ষার চিররঙিন রূপ যেন ফুটেছে আলোকিত হয়ে তবে গত কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। গত ৩ আগস্ট থেকে লাগাতর বৃষ্টিতে উপজেলার বিল ও চরাঞ্চল পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছে। শুক্রবার থেকে টানা ভারী বর্ষণ আর উজান থেকে আসা পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে চরঅঞ্চলের ক্ষেত ক্ষেতির ফসলাধি। উজানের পানি আসায় সাতকানিয়া উপজেলার ওপর বয়ে যাওয়া ডলু নদীর পানি বিপদসংকুল হয়ে পড়েছে । অন্যদিকে সাঙ্গু নদীতে নেমেছে পানির ঢল। সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার নিম্নাঞ্চলের আউশ ধান ও ক্ষেত জমির ফলফলাধি পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে আমন ধানের বীজতলা। উপজেলার চরতি, আমিলাইষ, নলুয়া, খাগরিয়া, কালিয়াইশ, ধর্মপুর, পুরানগড় সাঙ্গু নদীর তীরবর্তী হওয়ায় কৃষকরা ফসলাধি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছে। আউশ ধান চাষ করা কৃষকরা জানান, লাগাতর ভারী বর্ষণ আর উজানের পানি আসায় নিচু জায়গা তলিয়ে গেছে। অন্যদিকে, আবহাওয়া অফিস বলছে আরো কয়েকদিন ভারী বর্ষণ হবে। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ভারী বর্ষণ হচ্ছে। রবিবার ভোরে পাওয়া তথ্য অনুয়ায়ী উপজেলার চরতি, নলুয়া, আমিলাইষ, খাগরিয়া, পুরানগড়, কালিয়াইশ সহ কয়েকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল ও বিল অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, উপজেলার বাজালিয়া, ছদাহা, কেওঁচিয়া সোনাকানিয়া, কাঞ্চনা ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল ক্ষেতজমিতেও পানি আটকে থাকায় ফলফলাদি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা কৃষক এবং নিম্নাঞ্চল এলাকার মানুষদেরকে সর্তক থাকান আহবান জানিয়েছেন। অন্যদিকে, টানা ভারী বর্ষণে পাহাড় ও ভূমি ধ্বসের আশংকায় পাহাড়ি এলাকায় অবস্থানরত বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার জন্য সতর্ক করেছেন উপজেলা প্রশাসন।