
সায়েম উদ্দিন
১.
ধর্ম রহস্যের ঘরের দরজায় লেখা ছিলো,
রূহ জগতের বিধান প্রগতিমুখী;
প্রাণহীন শাশ্বত সত্য মেনে নিতে ভয় যার তাকে বলি ইতর
সেও কী আসলে সুখী?
২.
বস্তুত কোড়লেরা কোট-পকেটে আর ঠোঁট দেয় না
কারণ পেয়েছিলো তারা লগুড়ের আঘাত,
রুখেছিলাম অকপটে সবে মিলে
তখন কী ছিলো ভাগ ধর্ম-গোত্র-জাত;
ভেবেছো তারা থেমে গেছে?
থামেনি তারা
বাংলায় তাদের সমন্ত্রক অভিনিবেশ;
রুখে দাঁড়াতে আবার প্রস্তুত থাকো
ত্রপা ছেড়ে করো গভীর মনোঃনিবেশ।
৩.
হেলেদুলে মন্টেসরী
পথ-সাগর-গারো দিচ্ছো তুমি পাড়ি
সুপ্ত থাকা জয়ের নেশায় ছিলো কী মেঘ ছুঁবার মানস?
হিম-পর্বত কিংবা তাজেংডং কিছুই বাদ পড়েনি; যেন নিশাত
তুমি নিশাত না হয়ে নিষাদ হও
হয়ে উঠো নিহারীকা
মনসা-মঙ্গলের বেহুলাও হতে পারো
সাজতে পারো তনু-মিতু-খাদিজা;
তাতে বাধা নেই
হতে পারো যুধ্যমান মালতী-কাঁকনবালা-রমার মতো প্রতিমা;
কিংবা মজনু-ফরহাদের মন্মথ মুনিয়া!
তবে বিনাশীনি,
বিনিন্দিতা বিনেত্রী হতে চেয়ো না
এরা কামুকী বিপথে চলে
বিপদে পতি বদলায়
বিন্ধ্য সেজে ভাবে আপনায়
প্রমোদিনীর পণ্যশালা।
লেখক- সায়েম উদ্দিন, চট্টগ্রাম।