
বেসরকারি কলেজ অনার্স মাস্টার্স শিক্ষক ফোরামের চট্টগ্রাম জেলার সাধারন সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল বলেন,
বর্তমান সরকার শিক্ষা খাতে অনেক অবদান রাখছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার, ছাব্বিশ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় ও প্রতি উপজেলায় একটি করে হাই স্কুল এবং কলেজ জাতীয়করণ করেছেন। করোনা কালে সাতাশ শত তিরিশটি (২৭৩০) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্ত করেছেন। বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিচ্ছেন। এসব যখন দেশের মানুষ ভোগ করছেন, সে ক্ষেত্রে শুধু বঞ্চিত রইল বেসরকারি কলেজের অনার্স -মাস্টার্স কোর্সের শিক্ষকরা। কারন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কালো আইনের কারণে ও শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অবহেলায় এই
শিক্ষকরা এমপিও ভুক্ত হতে পারছেন না। তাই একদিকে এমপিও খাতের ৪১৪ কোটি ফেরত যাচ্ছে অর্থ মন্ত্রনালয়ে।
অন্যদিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ডে ২৫০০ কোটি টাকা অলস পড়ে আছে। যা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় চাইলে দ্রুততম সময়ে একটি জরুরী সিন্ডিকেট মিটিং ডেকে শিক্ষকদের বেতন ভাতার ব্যবস্থা করতে পারে।প্রয়োজনে কলেজ থেকে শিক্ষার্থী প্রতি ২০০/- থেকে ৩০০/- মাসিক টিউশন ফি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে শিক্ষকদের জন্য একটি স্থায়ী ব্যবস্থা নিতে পারে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরো লাভ হবে।এই করোনা কালে প্রায় ৮০ ভাগ কলেজের ফান্ড না থাকায় বেতন ভাতা বন্ধ হয়েগেছে।
তাই সরকারের কাছে আকুল আবেদন
এই ৩৫০০ শিক্ষকের জন্য আগামী ছয় মাস চলার জন্য ষাট (৬০) কোটি টাকার প্রনদোনা বরাদ্দ দিয়ে শিক্ষকদের বাঁচান।
তাঁর বক্তব্যের সাথে সহমত পোষণ করেন
জেলা কমিটির সভাপতি, জিয়াউর রহমান, এছাড়াও সহমত প্রকাশ করেন, মাহাবুবুর রহমান, মাকসুদুর রহমান, হুমায়ুন করিম, নুর নবী, নুর মোহাম্মদ, মোহাম্মদ ইয়াসিন, সুকান্ত নন্দী, মোহাম্মাদ মামুন,রোমেন দে,মোহাম্মদ রাসেল, রিম্পা মুৎসুদ্দী, জয়নাল আবেদিন, মন্জুর মোর্সেদ,আবদুস সালাম, ফখরুদ্দীন মুরাদ, নাজিম উদ্দীন, বেলাল উদ্দীন, সেলিম উদ্দীন,নজরুল ইসলাম, মোয়াজ্জেম হোসেন, কাজী ইমদাদুল হক, সহ প্রমুখ শিক্ষক বৃন্দ।