
বিদেশ থকে আসার পর ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে না থেকে বাড়ির আশেপাশের রাস্তায় ঘোরাফেরা করায় বরিশাল নগরীর মুন্সি গ্যারেজ ও বাঘিয়া এলাকায় দুই প্রবাসীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এছাড়া দ্রব্যমূল্যের তালিকা না থাকা এবং অতিরিক্ত দাম রাখায় জেলার চালের আড়তে অভিযান চালিয়ে ৩ ব্যবসায়ীক মোট ৬৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান জানান, শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টায় নগরীর মুন্সি গ্যারেজ এলাকায় বাবুল হোসেন নামের একজন ফ্রান্স প্রবাসী নিজ বাসা সংলগ্ন রাস্তায় ঘোরাফেরা করছিলেন। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। এসময় ওই প্রবাসী জানান, গত ৬ মার্চ ফ্রান্স থেকে বাংলাদেশে এসেছেন। দিন চারেক কোয়ারেন্টিনে ছিলেন বলে দাবি করেন তিনি। তবে ১০ মার্চ বরিশালের বিভিন্ন স্থানে তিনি ঘোরাফেরা করেছেন বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। এই ঘটনার প্রমাণ পেয়ে, সরকারি নিষেধাজ্ঞা না মানার দায়ে ওই প্রবাসীকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করে দেওয়া হয়।
এছাড়াও নগরীর বাঘিয়ায় কুয়েত প্রবাসী সাইদ হোম কোয়ারেন্টিন অমান্য করায় তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করে দেওয়া হয়।
এদিকে বেলা সাড়ে ১১টায় নগরীর ফরিয়াপট্টিতে অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে চলমান কর্মসূচির আওতায় বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতেই এই অভিযান। এসময় দোকানে দ্রব্যমূল্যের পুরাতন তালিকা টাঙানো এবং অতিরিক্ত দাম নেওয়ায় সিমেলিত বাণিজ্য ভাণ্ডারকে ২৫ হাজার, প্রতিমা এন্টারপ্রাইজকে ৩০ হাজার এবং খুচরা ব্যবসায়ী ভাইভাই স্টোরকে ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অপরদিকে করোনা ঠেকাতে বরিশাল সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদে একটি বিয়ে ও একটি সুন্নতে খাতনা অনুষ্ঠান বন্ধ করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।