
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার সাইনবোর্ড সাহেবপাড়া এলাকায় গ্যাসের চুলার আগুনে দগ্ধ আরও দু’জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫ জনে। দগ্ধ হয়ে একই পরিবারের আরও তিন জন এখনও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
২৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আপন (১২)এবং মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে হিরণ (৩৫) মারা যান। ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল ৫ জনে। এর আগে নুরজাহান বেগম (৭০), তার বড় ছেলে কিরণ (৫৫), ও ভাতিজা আবুল বাশার সুমন মারা যান।
কিরণের ভগ্নিপতি মোহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া জানান, ফারুক হোসেনের ৫ তলা বাড়ির নিচতলায় ভাড়া থাকতেন নূরজাহানের পরিবার। গ্যাসের চাপ কম থাকায় চুলার চাবি চালু রেখেই ঘুমিয়ে পড়েছিল পরিবারটি। ঘটনার দিন ১৭ ফেব্রুয়ারি ভোর সাড়ে ৫টার দিকে নূরজাহান বেগম রান্না করার জন্য ম্যাচের কাঠি ধরানোর সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়। এতে একই পরিবারের ৮ জন দগ্ধ হয়। এখনও ঢামেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিন জন। তাদের মধ্যে কাউসারের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।