
দেশচিন্তা ডেস্ক: কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া রেকর্ড ৩৫ বস্তা টাকা গণনা চলছে। ৩ ঘণ্টায় ৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা গণনা করা হয়েছে।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে রূপালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখার ডিজিএম রফিকুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সকাল ৭টায় দান বাক্সগুলো খোলা হয়। পরে টাকা বস্তায় ভরে মসজিদের দ্বিতীয় তালার মেঝেতে এনে সকাল ৯টায় গণনার শুরু করা হয়। সেই হিসাবে ৩ ঘণ্টায় ৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা গণনা করা হয়েছে।
মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য, মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, পার্শ্ববর্তী আল জামিয়াতুল এমদাদিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থী, রূপালী ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মাচারীসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক জনের একটি দল এই ৩৫ বস্তা টাকা গণনার কাজে অংশ নিয়েছে। অন্যান্য বারের তুলনায় এবার দানবাক্স খোলার সময় পার হয়ে যাওয়ায় লোহার ১০টি দান সিন্ধুকসহ অতিরিক্ত ৩টি টিনের বাক্স বাড়ানো হয়েছে।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় পাগলা মসজিদের ১০টি লোহার দান সিন্দুক ও অতিরিক্ত ৩টি টিনের দানবাক্সসহ মোট ১৩টি সিন্ধুক খুলে রেকর্ড ৩৫ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। পরে মসজিদ কমপ্লেক্সের দোতলায় এনে গণনার কাজ শুরু হয়।
দানবাক্স খোলার সময় কিশোরগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আসলাম মোল্লা, পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক মো. এরশাদুল আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খানসহ বিপুল সংখ্যক সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সবশেষ চলতি বছরের ৩০ আগস্ট পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে রেকর্ড ১২ কোটি ৯ লাখ ৩৭ হাজার ২২০ টাকা পাওয়া যায়। টাকার পাশাপাশি হীরা, বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারও পাওয়া গেছে বিপুল পরিমাণ।
মসজিদের দান থেকে পাওয়া এসব অর্থ সংশ্লিষ্ট মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয়।
মসজিদটিকে এবার আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুতই এর কাজ শুরু হবে। যার নামকরণ হবে ‘পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্স’। এটি নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ থেকে ১২০ কোটি টাকা। সেখানে ৪০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।











