
দেশচিন্তা ডেস্ক: সিরিয়ায় আবারও শুরু হয়েছে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। দেশটির আলেপ্পোতে সরকারি বাহিনী আর কুর্দি-নেতৃত্বাধীন এসডিএফের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়েছে। এসডিএফকে সিরীয় সেনাবাহিনীতে যুক্ত করার বিষয়ে চলা গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের মধ্যেই সহিংসতার এ ঘটনা ঘটল।
স্থানীয় সময় সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সিরিয়ার আলেপ্পো শহরের শেখান ও লাইরমুন গোলচত্বরে সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও কুর্দি-নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস- এসডিএফের মধ্যে গুলি বিনিময় শুরু হয়।
এতে নিহত হয়েছেন অন্তত দুই বেসামরিক নাগরিক। আহত হয়েছেন অনেকে। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানা জানায়, সংঘর্ষের সময় আতঙ্কে বহু পরিবার এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।
সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভিযোগ, আলেপ্পোর শেখ মাকসুদ ও আশরাফিয়াহ এলাকায় যৌথ চেকপোস্টে থাকা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছে এসডিএফ।
দুই বাহিনীর সহিংসতা এমন সময় ঘটেছে যখন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান দামেস্কে সিরীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল এসডিএফ বাহিনীকে সিরিয়ার নতুন জাতীয় সেনাবাহিনীতে কীভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তাই প্রশ্ন উঠছে, আলোচনার মধ্যেই কেন এমন সহিংসতা?
গত মার্চে সিরীয় প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা এসডিএফের সঙ্গে একীভূতকরণ চুক্তি স্বাক্ষর করলেও তা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। তুরস্ক চায় এসডিএফ ভেঙে তাদের যোদ্ধাদের আলাদাভাবে সেনাবাহিনীতে যুক্ত করা হোক। তবে কুর্দি পক্ষ চাইছে একক ইউনিট হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হতে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই মতপার্থক্যই এখন সিরিয়ার সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা ঝুঁকি হয়ে উঠছে।

















