আজ : শনিবার ║ ৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ : শনিবার ║ ৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║২৩শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ║ ১৭ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

দাবি না মানলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা জামায়াতসহ ৮ দলের

দেশচিন্তা ডেস্ক: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ সমমনা আরও ছয় ইসলামি দল তাদের পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে আগামী ১১ নভেম্বর জনসভা থেকে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে।

শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে জাগপা ঢাকা মহানগর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ৮ দলের লিয়াজো কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠকে নেতারা বলেন, ‘আমরা বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক পক্ষকে আলোচনার জন্য আহ্বান জানিয়েছি। তবে বিএনপি এখনো আলোচনায় অংশ নিতে রাজি নয়। দেশের এবং জনগণের স্বার্থে যদি তারা আলোচনায় অংশ নিতে চায়, তবে তা জানাতে হবে।’

তারা আরও বলেন, ‘গণভোটকে জাতীয় নির্বাচনের দিন নেওয়ার চেষ্টা কোন লাভ বয়ে আনে না। জনগণের দাবি অনুযায়ী গণভোট অবশ্যই জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে অনুষ্ঠিত হতে হবে। অন্যথায় ১১ নভেম্বর আমাদের জনসভা থেকে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

বৈঠক পরিচালনা করেন জাগপা সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান। সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন্দ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব আতাউল্লাহ আমিন, সিনিয়র নায়েবে আমির সাখাওয়াত হোসাইন, যুগ্ম মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সাল, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মুসা বিন ইজহার চৌধুরী ও সিনিয়র নায়েবে আমির আব্দুল মাজেদ আতাহারী। এছাড়া বক্তব্য দেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব ইউসুফ সাদেক হাক্কানি ও নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান হামিদী, জাগপা সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির সদস্য আবু নাসের নূর নবী জনি ও অর্থ সম্পাদক রিয়াজ হোসাইন।

আন্দোলনরত ৮ দলের পাঁচ দফা দাবি হলো:
জুলাই মাসের জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করা এবং জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে এর ওপর গণভোট আয়োজন করা।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে/উচ্চকক্ষে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক (PR) পদ্ধতি চালু করা।
অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সমান সুযোগ ও ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করা।
বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সকল জুলুম, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা।
জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
বৈঠক শেষে নেতারা আবারও জোর দিয়ে বলেন, ‘জনগণের দাবির প্রতি যদি সরকার বা রাজনৈতিক দলগুলি উদাসীন থাকে, তাহলে আমরা ১১ নভেম্বরের জনসভা থেকে কঠোরতম কর্মসূচি বাস্তবায়ন নিশ্চিত করব।’

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আজকের সর্বশেষ সংবাদ