
দেশচিন্তা ডেস্ক: হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শ্যামাপূজা (কালীপূজা) ও দীপাবলি উৎসব (২০ অক্টোবর) সোমবার। কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে সাধারণত শ্যামাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। শক্তি ও শান্তির দেবী শ্যামা মায়ের আগমনে হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে পূজার আয়োজন চলছে এবং সর্বত্র আনন্দ-উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়েছে।
বাঙালি সংস্কৃতিতে কালীপূজা ও দীপাবলির উত্সব গুরুত্বপূর্ণ।
আলোর উৎসব দীপাবলিকে বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা দীপাবলি বললেও অবাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা একে দিওয়ালি বলে থাকে। ধর্মীয় এই উৎসবকে অনেকে দীপান্বিতা কালীপূজাও বলে থাকে।
পঞ্জিকা মতে, (২০ অক্টোবর) সোমবার বিকেল ৪টা ১৪ মিনিটে আমাবস্যা তিথি শুরু হবে, যা আগামীকাল মঙ্গলবার বিকেল ৬টা ২৪ মিনিটে শেষ হবে। এই সময় কালীপূজার পাশাপাশি অনেকেই লক্ষ্মীপূজাও করবেন।
ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রমনা মন্দির, রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ, সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দির, সবুজবাগ থানাধীন শ্রীশ্রী বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির, পুরান ঢাকার রাধাগোবিন্দ জিঁও ঠাকুর মন্দির, পোস্তগোলা মহাশ্মশান, তাঁতিবাজার, শাঁখারীবাজার, বাংলাবাজারসহ বিভিন্ন মণ্ডপ ও মন্দিরে শ্যামাপূজার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
কালীপূজার দিন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা সন্ধ্যায় তাদের বাড়িতে ও শ্মশানে প্রদীপ প্রজ্বালন করে স্বর্গীয় মা-বাবা ও আত্মীয়-স্বজনকে স্মরণ করে। একে বলা হয় দীপাবলি।