
দেশচিন্তা ডেস্ক: কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে শনিবার (১৮ অক্টোবর) আনুমানিক রাত ৮টার দিকে আকস্মিকভাবে আগুন লাগে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ভবনের একটি অংশে হঠাৎ ধোঁয়া উঠতে দেখা গেলে শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। এসময় দ্রুত সবাইকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, একটি ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। ঘটনার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে যৌথভাবে কাজ শুরু করে। প্রায় একঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগুন লাগার সময় শিক্ষার্থীদের দ্রুত ক্যাম্পাসের বাইরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। ফলে কোনো প্রাণহানি বা গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি। তবে ভবনের কিছু কক্ষের আসবাবপত্র ও ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা হয়নি।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর প্রাথমিকভাবে শর্ট সার্কিটকেই আগুন লাগার কারণ হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে। বিস্তারিত তদন্ত শেষে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়াতে ক্যাম্পাসের বৈদ্যুতিক লাইন, সংযোগ ও ফায়ার সেফটি সিস্টেমের সার্বিক পরিদর্শনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের মধ্যে অগ্নি-নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হবে।
এই ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের দ্রুত পদক্ষেপে বড় কোনো বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেন, “সময়মতো ফায়ার সার্ভিস না এলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারত। আমরা সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম, কিন্তু কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নেয়।”