
দেশচিন্তা ডেস্ক: যথাযথ মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক সাবের আহমেদ আসগারীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। চট্টগ্রামের জমিয়তুল ফালাহ জামে মসজিদে গতকাল বুধবার জোহরের নামাজের পর জানাজা শেষে এই মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিকের রাষ্ট্রীয় ‘গার্ড অব অনার’ দেয়া হয়। এর আগে তাঁর পেশাদারি ও রাজনৈতিক বর্ণাঢ্য জীবনের প্রতি সম্মান জানিয়ে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী,বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রাক্তন জসদ নেতা ডা.মাহফুজুর রহমান, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি সালাউদ্দিন মো.রেজা ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগরী কমান্ডার মো.শাহাবুদ্দীন প্রমুখ। জানাজা শেষে তাঁকে গরীবুল্লাহ শাহ কবরস্থানে দাফন করা হয়।
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) সদস্য প্রবীণ সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবের আহমদ আসগরীর মরদেহে সিইউজের পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে জামেয়াতুল ফালাহ মসজিদের মাঠে জানাজা শেষে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিইউজে সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী,সাধারণ সম্পাদক সবুর শুভ, সিনিয়র সহ-সভাপতি স. ম. ইব্রাহিম,যুগ্ম সম্পাদক ওমর ফারুক ও প্রচার সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম প্রমুখ। এর আগে মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) প্রবীণ সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবের আহমদ আসগরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে সিইউজে। এক শোকবার্তায় সিইউজে সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক সবুর শুভ শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
সিইউজে নেতৃবৃন্দ বলেন, মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবের আহমদ আসগরী ছিলেন অসাধারণ মেধাবী, স্পষ্টবাদী ও সত্যসন্ধানী সাংবাদিক। মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে তার ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। স্বাধীন সাংবাদিকতার মহান ব্রতকে সামনে রেখে তিনি নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। তার সতীর্থ সাংবাদিকরা চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে তাকে স্মরণ করবেন। একজন নীতিবান সাংবাদিক হিসেবে তাঁর লেখনী সবসময়ই ছিল সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে। সাংবাদিকতা জগতে তাঁর অবদান নিঃসন্দেহে অনস্বীকার্য। বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবের আহমদ আসগরীর মৃত্যুতে সিইউজে পরিবার গভীরভাবে শোকাহত।
প্রবীণ সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবের আহমদ আসগরী বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। তিনি স্ত্রী, কন্যাসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন রেখে গেছেন।