
দেশচিন্তা ডেস্ক: বাসদ সিলেট জেলা শাখার আহবায়ক ও সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতা আবু জাফর,জেলা সদস্য সচিব প্রণব পাল সহ গ্রেফতারকৃত ৪ শ্রমিক নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বাসদ চট্টগ্রাম জেলা শাখার সমাবেশ বিকাল ৫টায় নিউমার্কেট মোড়ে অনুষ্ঠিত হয়। বাসদ চট্টগ্রাম জেলা শাখার ইনচার্জ আল কাদেরী জয় এর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি হেলাল উদ্দিন কবির, সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম চট্টগ্রাম জেলা শাখার আহবায়ক জোবায়ের বীনা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রায়হান উদ্দিন, চট্টগ্রাম নগর শাখার সভাপতি মিরাজ উদ্দিনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন বাসদ চট্টগ্রাম জেলা শাখার সদস্য আহমদ জসিম।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ব্যাটারী চালিত রিকশা ও ইজিবাইকের নীতিমালা প্রণয়ন এবং রিকশা চালকদের প্রশিক্ষণ ও লাইসেন্সের দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসুচির অংশহিসাবে সিলেট শহরে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের পর সংগঠনের কার্যালয় থেকে শ্রমিক ফ্রন্টের সিলেট জেলা আহবায়ক আবু জাফর, শ্রমিক ফ্রন্টের জেলা সদস্য সচিব প্রণব জ্যোতি পালসহ রিকশা শ্রমিক নেতা সৈকত ও রণি কে গ্রেফতার করে যে মামলায় তাদের কে যুক্ত করে কারাগারে পাঠানো হয়, সেই মামলায় তাদের যুক্ত না থাকার বিষয়টি আদালতের সামনে তুলে ধরলে আদালত ২৯ সেপ্টেম্বর উপরোক্ত ৪ জনের জামিন মঞ্জুর করে। কিন্তু সিলেট মহানগর পুলিশ প্রশাসন ঐদিনই তাদের নামে আরো দুটি মামলা দায়ের করিয়ে সেই মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়েছে। নতুন দায়েরকৃত মামলায় ঘটনার বর্ণনা থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, মামলা দুটি সিলেটের পুলিশ প্রশাসন ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে দায়ের করিয়েছে। মামলায় যে ঘটনার কথা বলা হয়েছে সেই ঘটনার দিনে এবং পরের দিন আবু জাফর সিলেট স্কপের প্রতিনিধি হিসাবে ঢাকায় একটি জাতীয় কনফারেন্সে উপস্থিত ছিল। তাছাড়া, ২৪ সেপ্টেম্বরে সিলেটে মিছিলকারীদের সাথে আবু জাফরের সংগঠন বা স্কপভুক্ত কোন সংগঠনের সম্পৃক্ততা ছিলনা। স্থানীয় পত্র পত্রিকায় ২৪ সেপ্টেম্বরের মিছিল কারা করেছে তার ছবি প্রকাশিত হয়েছে। মুলত, সিলেট পুলিশ কমিশনারের বিধি বহির্ভূত ভাবে ব্যাটারী রিকশা চালকদের বিরুদ্ধে সিলেট নগরবাসী কে রাস্তায় নামার আহবানের বিরোধীতা করেও বক্তব্য রাখায় আবু জাফরসহ তার সহকর্মীদের হয়রানীর উদ্দেশ্যে এই মামলা ও গ্রেফতার যা ফ্যাসিস্ট শাসনামলের বিরোধি মত দমনের অপকৌশলের পুনরাবৃত্তি। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশে পুলিশ প্রশাসনের এই ধরনের ন্যাক্কারজনক কর্মকান্ড কোন ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বিগত ১৭ বছরে পুলিশ কে অপব্যবহার করার ফলে পুলিশের প্রতি যে জন আস্থাহিনতা বিরাজ করছে, গুটি কয়েক কোটিপতি ধনিদের স্বার্থে আবু জাফরদের মত একনিষ্ট, সৎ শ্রমিক নেতাদের উপর নিপীড়ন চালিয়ে, তাদের হয়রানী করার মধ্যে দিয়ে পুলিশ বাহিনীর প্রতি জনআস্থা নিম্নগামী হবে।”
নেতৃবৃন্দ সিলেট পুলিশ প্রশাসনের গনবিরোধী আচরণ পরিবর্তন করে শ্রমজীবী মানুষের প্রতি অধিক দায়িত্বশীল হয়ে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের আহবান জানান।