
দেশচিন্তা ডেস্ক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫) এক অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতিতে শিক্ষক হেনস্তার ঘটনায় গভীরভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
চবি প্রশাসন মনে করে, এ ধরনের ঘটনা দেশের উচ্চশিক্ষার ইতিহাসে নিকৃষ্ট দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এ ঘটনায় রাবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন, প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. মাহবুবর রহমান, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদসহ একাধিক শিক্ষক ও কর্মকর্তা শারিরীকভাবে লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন। শারীরিকভাবে হেনস্তা, অর্থ ছিনতাই এবং প্রায় আট ঘণ্টা ধরে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখা অমানবিক ও উচ্ছৃঙ্খল আচরণের শামিল। একটি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এটা কখনোই কাম্য নয়। যেকোনো সভ্য সমাজে শিক্ষকের মর্যাদা সর্বোচ্চ স্থানে থাকা উচিত। কিন্তু রাবির এ ঘটনা জনমনে গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। এ ধরনের ঘটনা শুধু শিক্ষকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও সম্মানের ওপর আঘাত নয়, বরং পুরো শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর একটি বড় আঘাত। এর ফলে শিক্ষকরা যেমন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হন, তেমনি শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।
শিক্ষার্থীদের যেকোনো দাবি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। সেজন্য সহিংস উপায় অবলম্বন করা কাম্য নয়। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাচ্ছে চবি প্রশাসন। এ ঘটনায় দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। একইসাথে, শিক্ষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং তাদের মর্যাদা রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর আহ্বান জানাচ্ছে চবি প্রশাসন।