আজ : মঙ্গলবার ║ ১৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ : মঙ্গলবার ║ ১৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║১লা আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ║ ২৪শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

মিরসরাইয়ে ছেলে হত্যার ঘটনায় বাবা গ্রেফতার

দেশচিন্তা ডেস্ক: মিসসরাই প্রতিনিধি : মিরসরাইয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া ছেলে মোহাম্মদ শাহেদ (২৪) হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি বাবা মো. নুরুজ্জামান (৬৫) ও দ্বিতীয় স্ত্রী আনোয়ারা বেগমকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৭)।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা থানার বাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকে নুরুজ্জামানকে বাস স্ট্যান্ড থেকে এবং একই এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে দ্বিতীয় স্ত্রী আনোয়ারা বেগমকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-৭ ও র‌্যাব-৯। দ্বিতীয় স্ত্রী আনোয়ারা বেগমকে ঘরে তোলা নিয়ে বিবাদেই খুন হয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলে মোহাম্মদ শাহেদ।

জানা গেছে, শাহেদের বাবা নুরুজ্জামান ১৫ বছর ধরে সৌদি আরবে বসবাস করেন। তাঁর স্ত্রী কামরুজ্জাহান দুই মেয়ে আর ছেলেকে নিয়ে চট্টগ্রাম নগরে ভাড়া বাসায় থাকতেন। এর মধ্যে দুই মেয়ের বিয়ে হয়েছে। গত ১১ আগস্ট ছোট মেয়ের বিয়ে হয়। সে বিয়ের অনুষ্ঠানে বন্ধুর স্ত্রী পরিচয়ে নুরুজ্জামান সিলেটের আনোয়ারা বেগম নামে এক নারীকে মিরসরাইয়ের বাড়িতে নিয়ে আসেন। এ নিয়ে তখনো পরিবারে অশান্তি হয়েছে। সর্বশেষ গত ৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ওই নারীকে বিয়ে করে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে ঘরে তোলেন তিনি। বিষয়টি জানতে পেরে ছেলে-মেয়ে ও বোনদের নিয়ে মিরসরাইয়ে আসেন কামরুজ্জাহান। এর আগে নানাভাবে জীবননাশের হুমকি পেয়ে ১০ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেলে মিরসরাই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেন তাঁরা। বাড়িতে যাওয়ার পর সন্ধ্যা সাতটায় স্বামী নুরুজ্জামানের সঙ্গে তাঁর কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে স্বামী ছুরি নিয়ে তাড়া করলে শাহেদ এগিয়ে আসেন মাকে বাঁচাতে। আর তখন ক্ষুব্ধ বাবা ছেলের বুকে ছুরিকাঘাত করে বসেন। এতে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর সাহেদের মা কামরুজ্জাহান বাদী হয়ে স্বামী নুরুজ্জামানকে প্রধান আসামী করে ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী আনোয়ারা বেগমকে ২নং আসামী করে মিরসরাই থানায় হত্যা মামলা (০৫) দায়ের করেন। তখন থেকে নুরুজ্জামান পলাতক ছিলো।

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৭) এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. হাফিজুর রহমান বলেন, বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহেদ হত্যার পর তার বাবা নুরুজ্জামান ও দ্বিতীয় স্ত্রী আনোয়ারা বেগম আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে আত্মগোপনে চলে যান। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় র‌্যাব-৭ ও র‌্যাব-৯ যৌথ অভিযানে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানা এলাকার বাস স্টপেজ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের মিরসরাই থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরসরাই থানার উপ-পরিদর্শক জাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘সোমবার সন্ধ্যায় সিলেট থেকে র‌্যাব-৭ এর একটি দল নুরুজ্জামান ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী আনোয়ারা বেগমকে গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে আসামিদের মিরসরাই থানায় হস্তান্তর করা হয়। তাঁদের দুপুরে আদালতে তোলা হয় এবং দুইদিন রিমান্ড চাওয়া হলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।’

তিনি আরো বলেন, নুরুজ্জামানের দ্বিতীয় স্ত্রীর বাড়ি সিলেটের জৈন্তাপুরে। তবে সেখান থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি। সিলেট শহরের একটি বাসস্ট্যান্ড থেকে র‌্যাব তাঁকে গ্রেফতার করেছে। দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে ওই এলাকার একটি হোটেলে উঠেছিলেন তিনি।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আজকের সর্বশেষ সংবাদ