
শিশু সাহিত্যের রাজধানী চট্টগ্রাম। পাহাড় নদী ঘেরা এই চট্টগ্রামের পথে প্রান্তরে বেড়ে উঠেছেন আল জাবিরী। আল জাবিরীর প্রতিটি লেখায় ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ এবং সমসাময়িক বিষয় দারুণভাবে তুলে ধরেছেন। তার প্রতিটি লেখা শিশু কিশোরদের মনে দাগ কেটেছে। শিশু সাহিত্যের অঙ্গনে আল জাবিরী এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। শিশু সাহিত্যের গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে, এখন শিশু সাহিত্যে ভূত আর গ্রামের গল্পের পাশাপাশি শহুরে জীবনের ছোঁয়া লেগেছে। আর সেটা দক্ষ হাতে অঙ্কন করেছেন আল জাবিরীর মতো তরুণ লেখকরা।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) চট্টগ্রাম তরুণ লেখক সংসদের মাসিক সাহিত্য আড্ডা ও শিশুসাহিত্যিক আল জাবিরীর ঢাকায় স্থানান্তর উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম তরুণ লেখক সংসদের আহ্বায়ক ইমরান এমির সভাপতিত্বে সদস্য সচিব নাজমুল হাসানের পরিচালনায় অতিথি ছিলেন দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদক কবি অধ্যাপক কমরুদ্দীন আহমেদ, কবি ও সংগঠক সাঈদুল আরেফিন, লেখক-সংগঠক ও দৈনিক প্রিয় চট্টগ্রাম পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মির্জা ইমতিয়াজ শাওন। অনুষ্ঠানের শুরুতে সদ্য প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা, চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশনা সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন শাহ আলম নিপু ও শিশুসাহিত্যিক দিপালী ভট্টাচার্য স্মরণে নিরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে আল জাবিরীর সাহিত্যকর্ম নিয়ে প্রবন্ধ পাঠ করেন চট্টগ্রাম তরুণ লেখক সংসদের সাবেক সভাপতি গল্পকার-প্রাবন্ধিক ইলিয়াস বাবর। স্বরচিত লেখা পাঠ এবং আল জাবিরীকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন কবি আরিফা সিদ্দিকা, কবি-সম্পাদক মোস্তফা হায়দার, কবি আবু ওবাইদা আরাফাত, কবি শফিক মেরশেদ, কবি আহমেদ পলাশ, কবি ও গল্পকার আরমানউজ্জামান, গল্পকার আহমদ জসিম, কবি মোসলেহ মহসিন, কবি ও সংগঠক শাদ ইরশাদ, ছড়াকার হোসাইন মোস্তফা, কবি শওকত এয়াকুব, কবি মুনাজ উর রহমান, কবি মাহমুদ হাসান, কবি-প্রাবন্ধিক ও সম্পাদক মিজান মনির, ছড়াকার শফিকুর রহমান সবুজ, গল্পকার সৈয়দ ইবনুজ্জামান, কবি ও সাংবাদিক এম হেলাল বিন ইলয়াছ, গল্পকার পান্থজন জাহাঙ্গীর আলম, কবি তৌহিদুল আলম, কবি তৌহিদ উল বারী, কবি জাহেদুল ইসলাম, কবি মোঃ আরাফাত আজম, কবি মুহাম্মদ মুনিরুল ইসলাম জুয়েল প্রমুখ।