নিজস্ব সংবাদদাতা, চন্দনাইশ :
চট্টগ্রাম-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেছেন, চন্দনাইশে বিগত ৫ বছরে সবক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আজ ৩ নভেম্বর থেকে দোহাজারী রেললাইনে ৩ টি ট্রেন আসা-যাওয়া করবে। চন্দনাইশের পাহাড়ী এলাকায় এগ্রোব্যাচ ইন্ডাস্ট্রিজ প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। আইটি পার্ক করার ব্যাপারে সংসদে উত্তাপন করা হয়েছে। গাছবাড়ীয়া সরকারি কলেজকে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে রূপান্তর করা হবে। কাঞ্চননগর এলাকায় নিজস্ব অর্থায়নে টেকনিক্যাল কলেজ স্থাপন করার পরিকল্পনা রয়েছে। শঙ্খ নদীতে কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে ড্রেজিং প্রকল্প পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। ২শ ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে শঙ্খের ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্লক স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলেছে। সে সাথে শঙ্খ নদীতে বন্দর জোন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় নজর দিতে হবে। আলোচনা, গবেষনা, সুচিন্তিত প্রস্তাবের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান কল্পে বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা গুলো সনাক্ত করে পর্যায়ক্রমে সমাধানের প্রকল্প হাতে নিতে হবে। চন্দনাইশের বিশাল পাহাড়ি এলাকা কাজে লাগাতে রাবার ড্রামের মাধ্যমে কৃষি বিষয়ক প্রকল্প হাতে নিতে হবে। পাহাড়ি এলাকায় ইকোনমিক জোন স্থাপনে সুনির্দিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে অর্থনৈতিক বিল্পব ঘটবে। অর্থনৈতিক পরিবর্তন শুরু হয়েছে, না চাইলেও এগিয়ে যাবে। বড়ধরনের শিল্প কারখানা ছেড়ে ছোট-ছোট ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে। এতে নারীদের সম্পৃক্ত করে দেশে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। সনাতনী কৃষিকে বাদ দিয়ে আধুনিক কৃষক তৈরি করে আগামীর চালক সৃষ্টি করে সোনালী ভবিষ্যৎ তৈরি করতে হবে। এ সকল কাজে তরুণদের সম্পৃক্ত ও একত্রিত করে এগিয়ে যেতে হবে। নিজেদেরকে কর্মী হিসেবে তৈরি করে নিজের অবস্থান সৃষ্টি করে দায়িত্ব নিতে হবে।
গতকাল ২ নভেম্বর সকালে চন্দনাইশ মিডিয়া ক্লাবের উদ্যোগে সংগঠনের সভাপতি, যমুনা টেলিভিশনের বুরোচীফ জামসেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় ‘চন্দনাইশের উন্নয়ন, সমস্যা, সম্ভাবনা র্শীষক গোলটেবিল বৈঠক নগরীর ওযার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে অনুষ্টিত হয়। এতে জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ, পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত থেকে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমদ, উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার চৌধুরী, দক্ষিণ আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, পৌর মেয়র মাহবুবুল আলম খোকা, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা ডা. হোসেন জিল্লুর রহমান, উপজেলা আ.লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক আবু আহমদ জুনু, রিহ্যাব চট্টগ্রামের প্রেসিডেন্ট আবদুল কৈয়ুম চৌধুরী, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কর্মাসের সহ-সভাপতি আবদুল মাবুদ চৌধুরী মাহবুব, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগি অধ্যাপক ড. সুকান্ত ভট্টাচার্য, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এড. নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, জাসদ নেতা কবি অভিক ওসমান, শিল্পপতি তিনকড়ি চক্রবর্তী, ইসলামী ফ্রন্ট নেতা স.উ.ম আবদুস সামাদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক আকরাম হোসেন, দক্ষিণ জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান, বিএনপি নেতা এমএ হাশেম রাজু, সিরাজুল ইসলাম, এলডিপি নেতা মোতাহের মিয়া, আইনুল কবির, ব্যবসায়ী মাকছুদুর রহমান, কমর উদ্দিন ছবুর, আ.লীগ নেতা সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা আকতার চৌধুরী, নুরুল আনোয়ার চৌধুরী, মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, প্রবাসী মোজাম্মেল হক, ড. নাছির উদ্দিন জয়, এড. সিরাজদ্দৌল্লাহ, মামুনুর রশিদ চৌধুরী, জাতীয় পার্টির নেতা মো. বাদশাহ মিয়া প্রমূখ।
সভায় চন্দনাইশের বিভিন্ন সমস্যা, সম্ভাবনার মধ্যে কৃষি, পেয়ারা, লেবু বাগান, ধোপাছড়িতে পর্যটন কেন্দ্র, পাহাড়ী এলাকায় ইকোনুমিক জোন, শিল্প কারখানা, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও কারিগরি কলেজ স্থাপন, গ্যাস লাইনের ব্যবস্থা করন, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, মাদকের আগ্রাসান থেকে যুব সমাজকে রক্ষা, শঙ্খ নদীতে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে সংস্কার, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন, সবজির হিমাগার স্থাপন, জল বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ক্যান্সার হাসপাতাল স্থাপন, এলাকায় ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিতে এলাকাকে এগিয়ে নিয়ে গেলে মাদকের আগ্রাসান থেকে যুব সমাজকে বাচানো, বিভিন্ন খাল গুলি সংস্কার করে এলাকার মানুষকে আত্মকেন্দ্রিকতা থেকে বের করে এনে সমাজের জন্য কিছু কাজ করার আগ্রহ সৃষ্টি করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।