
বায়তুশ শরফের পীর ও ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লি: এর শরীয়া বোর্ডের চেয়ারম্যান শাহ সূফী মাওলানা মুহাম্মদ কুতুব উদ্দিন বলেছেন, কারবালার প্রান্তরে ইমাম হোসাইনের শাহাদাত সমাজের অন্যায় ও অসত্যের বিরুদ্ধে প্রেরনা যুগিয়েছে। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার দৃঢ়তা অর্জিত হয়েছে। কারবালার মাধ্যমে বিশ্বে ইসলামী পূর্নজাগর সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, খোদাদ্রোহী ও জালিম শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার শিক্ষা আমরা কারবালা থেকেই পায়। তিনি আরো বলেন, কারবালায় ইমাম হোসাইনের (রা:) শাহাদাতের মাঝে আসলে এজিদের অপমৃত্যুই নিহিত ছিল কেননা প্রতিটি কারবালার পরেই ইসলাম পূনর্জীবিত হয়েছে। মাওলানা কুতুব উদ্দিন আরো বলেন, সত্যের সাথে মিথ্যার দ্বন্দ থাকবে তবে সত্যকে বিজয়ী করার জন্য কোরআন সুন্নাহ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তিনি বলেন, শাহাদতে কারবালায় শিক্ষায় উজ্জীবিত হয়ে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তাহলে বিশ্বে ইসলামীা পূর্নজাগরণ সহজ হবে।
বায়তুশ শরফ আনজুমনে ইত্তেহাদ বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত আইয়্যামে আশুরা ও শাহাদতে কারবালা মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে বাহরুল উলুম শাহ মুহাম্মদ কুতুব উদ্দিন উপরোক্ত কথা বলেন।
পবিত্র আশুরা উপলক্ষ্যে বিকাল সাড়ে ৩টায় বায়তুশ শরফ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মুহাম্মদ মুছার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন আলহাজ্ব আবদুল আউয়াল। আলোচনা পেশ করেন মজলিসুল উলামা বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মামুনুর রশীদ নুরী, মাওলানা কাজী জাফর আহমদ, মাওলানা শফিক আহমদ নঈমী, মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান, মাওলানা ওবাইদুল্লাহ। উপস্থিত ছিলেন মুহাদ্দিস মাওলানা কাজী ফজলুল রহমান, আনজুমনে ইত্তেহাদের সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল করীম মিন্টু, মধুবন কোং এর চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সোলাইমান, হাজী আহমদ হোসাইন, মাওলানা সাইয়্যেদ নূর, মাওলানা নুর হোসাইন, মাওলানা আসিফুল হক ও মাওলানা জাহাঙ্গীর প্রমুখ।
মাহফিলে মাওলানা মামুনুর রশীদ নূরী বলেন, মহররম মাসের ১০ তারিখ ঈমাম হোসাইনের শাহাদত ছাড়াও আরো বহু ঘটনা সংঘঠিত হয়েছে। ইসলামের বিস্ময়কর ঘটনার স্বাক্ষী হচ্ছে মহররম মাসের দশ তারিখ। তিনি বলেন, কারবালার প্রান্তরে হোসাইনের শাহাদত মুসলিম উম্মাহর জন্য সবচেয়ে বড় শিক্ষা হচ্ছে অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করা। অসত্যের বিরুদ্ধে দুরবার আন্দোলন গড়ে তোলা। ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠার জন্য শাহাদাতের তামান্না নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে ঝাপিয়ে পড়ার নামই হচ্ছে শাহাদতে কারবালা।
তিনি আরো বলেন, যুগে যুগে ইসলামকে ধ্বংস করার জন্য হাজারো ষড়যন্ত্র হয়েছে। ষড়যন্ত্রকারীরা ধ্বংস হয়েছে আর ইসলামের পতাকা উড্ডীয়মান হয়েছে। ঠিক শাহাদতে কারবালাও বিশ্বের মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধভাবে জালিম শাসকের বিরুদ্ধে লড়াই করার শিক্ষা দিয়ে গেছে।
বায়তুশ শরফ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম মিলাদ মাহফিল পরিচালনা করেন এবং বিশ্ববাসীর শান্তি কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন হুজুর কেবলা। শেষে তাবারুক বিতরণ করা হয়।