
দেশচিন্তা ডেস্ক : দেশের ক্রান্তিলগ্নে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান হিসেবে শপথ নিয়েছেন চট্টগ্রামের কৃতিপুরুষ নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে। তিনি বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাত ৯টা ২১ মিনিটে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন তাঁকে প্রধান উপদেষ্টার শপথপাঠ করান। চট্টগ্রাম থেকে ইতোপূর্বে নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার, তত্ত্বাবধায়ক সরকারে একাধিকজন মন্ত্রী-উপদেষ্টা হলেও সরকারপ্রধানের সর্বোচ্চ এ পদে ড. মুহাম্মদ ইউনূসই প্রথম।
১৯৭৬ সালে হাটহাজারীর জোবরা গ্রাম থেকে দেশের দারিদ্র বিমোচনের স্বপ্ন নিয়ে যাত্রা প্রফেসর ড. মুহম্মদ ইউনূসের। তাঁর এ স্বপ্নের উদ্যোগ ছড়িয়ে যায় বিশ্বব্যাপী। শান্তিতে নোবেল জয়, জাতিসংঘের ‘চ্যাম্পিয়ন অব গ্লোবাল চেঞ্জ’সহ দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক কয়েকশো পুরস্কার তাঁর ঝুলিতে।
১৯৪০ সালের ২৮ জুন চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার বাথুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মুহাম্মদ ইউনূস। চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় মুহাম্মদ ইউনূস মেধা তালিকায় ১৬তম স্থান অধিকার করেন এবং চট্টগ্রাম কলেজে ভর্তি হন।
১৯৫৭ সালে মুহাম্মদ ইউনূস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগের সম্মান শ্রেণীতে ভর্তি হন এবং সেখান থেকেই বিএ এবং এমএ পাশ করেন। পড়াশোনা শেষে তিনি ব্যুরো অব ইকোনমিক্স-এ যোগ দেন গবেষণা সহকারী হিসেবে। পরবর্তীতে ১৯৬২ সালে চট্টগ্রাম কলেজে প্রভাষক পদে যোগদান করেন।
১৯৬৫ সালে তিনি স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যান। পরে ভেন্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৯ সালে অর্থনীতিতে পিএইচডি লাভ করেন। পরবর্তীতে ১৯৬৯ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত মিডল টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করেন।
১৯৭২ সালে দেশে ফিরে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন এবং বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি অধ্যাপক পদে উন্নীত হন এবং ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত এ পদে কর্মরত ছিলেন। এই সময়ের মধ্যেই ১৯৭৬ সালে তিনি গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। ক্ষুদ্রঋণের ধারণার মাধ্যমে সারাবিশ্বে একটি সাড়া ফেলে গ্রামীণ ব্যাংক।