আজ : শুক্রবার ║ ৯ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ : শুক্রবার ║ ৯ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║২৬শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ║ ১১ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

শহীদ জিয়ার অবদান ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখা থাকবে -ডা. শাহাদাত হোসেন

দেশচিন্তা ডেস্ক : চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রথম বিদ্রোহ চট্টগ্রাম থেকেই হয়েছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এদেশের সেনাবাহিনীকে সংগঠিত করে তিনি পাক সেনাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করেছেন চট্টগ্রাম থেকেই। তিনি স্বাধীনতার পরের সরকারের একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে দেশকে বের করে নিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। রাষ্ট্র পরিচালনায় তার দক্ষতা ও দূরদর্শিতার কারণে অতি অল্প সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ির তকমা ফেলে স্বনির্ভর বাংলাদেশের পথে, পথ চলতে শুরু করে। বাংলাদেশের পথচলা যখন বারংবার বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল ঠিক তখন রাষ্ট্র ও জনগণের জন্য ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষায় শহীদ জিয়ার অবদান এদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখা থাকবে।

 

তিনি শুক্রবার (৩১ মে) বাদে আসর কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন জামে মসজিদে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৩ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর জিয়া সমাজ কল্যান পরিষদের দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

এতে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর। দোয়া মাহফিল শেষে নেতৃবৃন্দ নাসিমন ভবনের সামনে বৃক্ষ রোপণ করেন।

 

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ইতিহাস থেকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে। এ জন্য পাঠ্যপুস্তকেও ইতিহাস বিকৃত করা হচ্ছে। আওয়ামীলীগের নেতারা মিথ্যা কথা বলে জিয়াউর রহমানকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করছে।

আবুল হাশেম বক্কর বলেন, জিয়াউর রহমান একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে এদেশের সমৃদ্ধির প্রতিটি ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তার সততা ও দেশপ্রেম ছিল সকল প্রশ্নের ঊর্ধ্বে। তার সততা নিয়ে তার চরম শত্রুও কোনো প্রশ্ন তুলতে পারেনি। ২৫ মার্চের ভয়াল রাতে হানাদার বাহিনীর আক্রমণের সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়ে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলে আজো দেশবাসীর হৃদয়ে অমর হয়ে আছেন।

 

এসময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শফিকুর রহমান স্বপন, ইয়াছিন চৌধুরীর লিটন, বিএনপি নেতা মো. শাহ আলম, মহানগর জিয়া সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি শেখ আলাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, বাগমনিরাম ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী আবু ফয়েজ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, যুবদলের সহ সম্পাদক আসাদুর রহমান টিপু, মো. ইদ্রিছ সবুজ, মো. সালাউদ্দীন, ইকবাল হোসেন জিসান, পরিষদের সি. সহ সভাপতি মো. ইলিয়াছ, সহ সভাপতি মিজানুর রহমান, মাঈনুদ্দীন খান রাজিব, যুগ্ম সম্পাদক মো. রুবেল, প্রচার সম্পাদক মিজানুর রহমান, ধর্ম সম্পাদক নেছার উদ্দীন, ছাত্রদল নেতা ইমতিয়াজ উদ্দিন অপু, সিহাব খালেদ মুন্না, পরিষদের নেতা মো. ইব্রাহিম, জিয়াউদ্দীন বাবলু, জাবেদ জোবায়ের প্রমূখ।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আজকের সর্বশেষ সংবাদ