
পেকুয়া প্রতিনিধি : সংরক্ষিত বনে নিয়ম অনুযায়ী কোনো ধরণের স্থাপনা তৈরি করার বিধান নেই। কিন্তু বনখেকোদের একটা দল বনবিভাগের চোখকে অত্যন্ত সুকৌশলে ফাঁকি দিয়ে রাতের আঁধারে তৈরি করছে স্থাপনা। কোনোমতে একটা ছোট্ট বাসা তৈরি করতে পারলেই দখল করে ফেলে চারপাশের কয়েক একর বনভূমি। ওঠাতে ঠাঁই দিয়েই গড়ে তুলে পাকা দালান।
সরেজমিন ঘুরে এমনই একটি চিত্র দেখা যায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের বারবাকিয়া রেঞ্জের টইটং বিটের কেরনছড়ি এলাকার আবুল বশর বাপের ডুরি নামক স্থানে। ফরেস্ট অফিসের ১০ মিনিট দূরত্বে অবস্থিত এই পাহাড়ে গিয়ে দেখা যায়, চারদিকে বড় বড় পাহাড়ের টিলা আর সারি সারি নানাজাতের বনজ গাছ। কিন্তু সেই শতশত চারাগাছ কেটে ১৫ মার্চ (শুক্রবার) দিবাগত রাতে নির্মাণ করছে স্থাপনা। এমনই একটি অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার মৃত রশিদ আহমদের ছেলে ও বনমামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামী আব্দুল হাকিমের বিরুদ্ধে। তার মামলা নং বন-৫১/২২।
টইটং বনবিটসূত্র ও সরেজমিন ঘুরে আরো জানা যায়, ৩০ শতক সরকারি সংরক্ষিত বনভুমিতে অভিযুক্ত আব্দুল হাকিমের রয়েছে বিলাসবহুল পাকা দালান। কিন্তু ওই বিলাসবহুল পাকা দালানে তার সখ মিটেনা, আরো অতিরিক্ত বনভূমি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে এই প্রভাবশালী ব্যক্তি। এইধরণের ব্যক্তিদের কারণে প্রতিনিয়ত দখল হয়ে যাচ্ছে টইটং বিটের সংরক্ষিত বনাঞ্চল।
অভিযুক্ত আব্দুল হাকিমের সাথে কথা বলতে তার মুঠোফোনে বারবার চেষ্টা করেও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। বিষয়টি নিয়ে কথা হলে টইটং বন বিটকর্মকর্তা জমির উদ্দিন বলেন, বিষয়টি জেনেছি,আমি সেখানে যাব, অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে দেবো এবং বিধিমত ব্যবস্থা নেবো।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা হাবিবুল হক বলেন, আমি বিষয়টি আমার বিট কর্মকর্তাকে বলেছি,এটা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হবে।