দেশচিন্তা নিউজ ডেস্ক:
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেছেন, আমির খসরু একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ। তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ, আন্দোলন দমে যাওয়া কিংবা বিএনপি নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি প্রদর্শনপূর্বক বাসাবাড়ীতে ঢুকিয়ে দেয়া নয়। এটা আন্দোলনের নতুনমাত্রা যোগ করেছে এবং দল ও নেতাকর্মীদের আরো বেশী উজ্জ্বীবিত করেছে। তিনি আজ ২২ অক্টোবর সোমবার বিকালে নাসিমনভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্করের মুক্তির দাবীতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন,
হামলা, মিথ্যা মামলা গ্রেফতার নির্যাতনে আন্দোলন দুর্বল হয় না বরং
শক্তিশালী হয়। এটাই আন্দোলনের প্রকৃত রূপ। যখন সরকারের পায়ের তলার মাটি সরে যায় এবং আস্থা সংকটে পড়ে তখন বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হামলা মামলা ও গ্রেফতার নির্যাতন করে বিরোধী দলকে দমন করতে চায়। ইতিহাসে কোন স্বৈরাচার সরকার হামলা মামলা করে বিরোধী দলকে দমিয়ে রাখতে পারেনি বরং ইতিহাসের আস্থাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। আজকের আওয়ামীলীগও আগামীদিনে ইতিহাসের আস্থা কুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। তিনি আরো বলেন, সরকার যতোই আমাদের কর্মসূচিতে বাধা দিক না কেন, আমাদের কর্মীরা আরো নতুন উদ্যমে তাদের কাজ করবে। দাবি আদায়ে আমাদের কর্মীরা সব সময় মাঠে প্রস্তুত থাকবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রাক্ষার জন্য আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাহসী নেতৃত্বে যে অকুতোভয় কাফেলা দূর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে এটা রুখার সাধ্য কোন অপশক্তির নেই। তারা কাংখিত লক্ষ্যে পৌছে বিজয় ছিনিয়ে আনবে এবং জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিবে।
তিনি বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিএনপি ও জিয়া পরিবারকে নিশ্চহ্ন করার লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নে তারেক রহমানকে প্রেসক্রিপশনের রায় দিয়ে যাবজ্জীবন দেয়া হয়েছে। দলীয় ব্যক্তিদের দিয়ে তারেক রহমানকে অন্তর্ভূক্ত করে অবৈধ সাজা দেয়া হয়েছে। হাওয়া থেকে পাওয়া খবর নিয়ে নেতাকর্মীদের গায়েবী মামলা দেয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা মারাত্ম প্রবিয়া রোগে আক্রন্ত, তিনি নিজের ছায়া দেখলেও ভয় পায়। তাই এ রোগ থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে হবে। আগামী ২৭ অক্টোবারে জনসভা ইতিহাসের বিহত্তর সমাবেশে রূপান্তরিত হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি
হারুনুর রশিদ বলেছেন, সরকার গণতন্ত্রকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। মানুষের কথা বলার অধিকারকে রুদ্ধ করার জন্য একের পর এক কালো আইন করে যাচ্ছে। যারা গণতন্ত্রের জন্য কথা বলে, গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে তাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে সাজা দেয়া হচ্ছে। গণগ্রেফতার করে গায়েবী মামলা দিয়ে এবং গুম, খুন করে বিরোধী দলকে দমন করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, আপোসহীন দেশনেত্রী গণতন্ত্রের মা, বয়োবৃদ্ধা বেগম খালেদা জিয়াকে অমানবিকভাবে ৭৪তম বয়সে জেল কাটানো হচ্ছে, যা পৃথিবীর কোন দেশে এর নজির নেই। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গ্রেফতারের পর চট্টগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের দায়িত্ব অত্যন্ত নিষ্ঠা ও সফলতার সাথে পালন করে যাচ্ছেন। যা আওয়ামীলীগ সরকারের গাত্রদাহের কারণ। আমির খসরু চৌধুরীকে উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়া সত্ত্বেও নিু আদালতে জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। আমির খসরু চৌধুরীকে গ্রেফতার স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকারের সর্বশেষ আছড়। সমাবেশ থেকে বক্তারা কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম এবং চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্করের গ্রেফতার এবং চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবী মামালা প্রদানের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলামের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহসভাপতি নাজিমুর রহমান, সবুক্তগীন সিদ্দিকী মক্কী, মাহবুবুল আলম, নুরুল আলম রাজু, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, জাহাঙ্গির আলম দুলাল, মো. শাহ আলম, কমিশনার আবুল হাসেম, আবদুল মান্নান, আনোয়ার হোসেন লিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর আলম মঞ্জু, প্রচার সম্পাদক শিহাব উদ্দিন মুবিন, চট্টগ্রাম স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, চট্টগ্রাম মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরী, আবদুল হালিম স্বপন, ইব্রাহিম বাবুল, আলী আব্বাস, মনজুর রহমান চৌধুরী, মাঈন উদ্দিন, জাহিদুল ইসলাম, আজমল হুদা রিংকু, ম. হামিদ প্রমুখ।