
দেশচিন্তা নিউজ ডেস্ক:
উপমহাদেশে অবৈতনিক শিক্ষার প্রবক্তা নুর আহম্মদ চেয়ারম্যানের ৬৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে আজ ২২ অক্টোবর সোমবার সকালে আলকরণস্থ মরহুমের পারিবারিক কবরে মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীনের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। কবর জেয়ারতকালে মরহুমের রূহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করা হয়।
এ সময় প্রফেসর এস এম সেলিম জাহাঙ্গীর, চসিক কাউন্সিলর তারেক সোলেমান সেলিম, হাসান মুরাদ বিপ্লব, শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেন,সমাজসেবক আলহাজ্ব আবদুর রহমান, আলহাজ্ব শফিক আহমদ, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, আকরাম আলী খান, মনজুর মোর্শেদ, নাসির উদ্দিন, খোরশেদ আলম রহমান, মো.সাহাবুদ্দীন, মো. এনাম, জাহাঙ্গীর আলম ও আলকরণ নুর আহমদ সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ কে এম মোহাম্মদ উল্লাহসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মেয়রের সাথে ছিলেন।
এসময় উপস্থিত নগরবাসীরদের সাথে আলাপকালে মেয়র বলেন, নুর আহম্মদ চেয়ারম্যান এক ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম স্থান অর্জন করে এম এ ডিগ্রী লাভ করায় চ্যাঞ্জেলর স্বর্ণ পদকে ভূষিত হয়েছিলেন। তাঁর মত মেধাবী শিক্ষাবিদ তৎকালিন সময়ে বিরল ছিল। নুর আহম্মদ চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম পৌরসভার চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় ১৯২৭ সনে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় সর্বপ্রথম বাধ্যতামূলক অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা প্রবর্তণ করেন। তিনি ব্রিটিশ আমলে ১০ বছর বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্য এবং পাকিস্তানের প্রথম গণপরিষদের সদস্য ছিলেন। মেয়র বলেন, জনকল্যান, মানবসেবা এবং দেশের আইন প্রণয়নের তাঁর বলিষ্ট ভূমিকা ছিল। নগর উন্নয়নে তাঁর অবদান ছিল অতুলনীয়। আজীবন তিনি ইতিহাস চর্চায় নিমগ্ন ছিলেন। সিটি মেয়র বলেন, নুর আহম্মদের জীবনকর্ম বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়।
এদিকে সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলের লুৎফুন্নেছা দোভাষ বেবী অসুস্থ হওয়ায় সংবাদ পেয়ে তাঁর বাসভবনে দেখতে যান সিটি মেয়র। তিনি তাঁর শারিরীক অবস্থার খোঁজ খবর নেন এবং পরিবারের সদস্যদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এ সময় মেয়রের সাথে চসিক কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব ও তারেক সোলেমান সেলিম উপস্থিত ছিলেন।