আজ : রবিবার ║ ১১ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ : রবিবার ║ ১১ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║২৮শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ║ ১৩ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

পালিয়ে যাওয়া ১০ রোগীকে ফের হাসপাতালে আনা হয়েছে

যশোর প্রতিনিধি:

যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তির পর পালিয়ে যাওয়া কোভিড-১৯ পজিটিভ ১০ রোগীকে ফের হাসপাতালটির করোনা ওয়ার্ডে আনা হয়েছে। সোমবার (২৬ এপ্রিল) বিকাল থেকে রাত দুইটা পর্যন্ত যশোর ছাড়াও খুলনা, সাতক্ষীরা ও কুষ্টিয়া থেকে তাদের ফিরিয়ে আনা হয়।

হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায় এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘তাদের সবাইকে যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। এখানেই ডাক্তাররা তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেবেন এবং সুস্থ হলে ছাড়পত্র দেওয়া হবে। ছাড়পত্র ছাড়া কেউ চলে গেলে আবারও এভাবে ফিরিয়ে আনা হবে।’

প্রসঙ্গত, গত ১৮ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল ভারত থেকে করোনা সংক্রমিত হয়ে বেনাপোল হয়ে দেশে ফেরেন ৭ জন। এছাড়া অভ্যন্তরীণ রোগী হিসেবে ছিলেন তিন জন। ওই সময়ের মধ্যেই তারা ১০ জন হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। গত রবিবার বিষয়টি জানাজানি হয় এবং গতকাল সোমবার এ ঘটনা নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, জরুরি বিভাগ থেকে টিকিট ইস্যু করে ওয়ার্ডবয়ের মাধ্যমে তিন তলায় করোনা রোগী পাঠানো হয়। কিন্তু তারা করোনা ওয়ার্ডে না গিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান।

সোমবার হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায় বিষয়টি যশোরের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং সিভিল সার্জনকে অবহিত করেন।

পালিয়ে যাওয়া রোগীদের যশোরে ফিরিয়ে আনতে পুলিশ প্রশাসন বিকাল থেকে তৎপরতা শুরু করে।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পালিয়ে যাওয়া ১০ জনকেই গতকাল রাতের মধ্যে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।’ তিনি জানান, ঘটনা জানার পর পুলিশ বেনাপোল ইমিগ্রেশন থেকে সাত জনের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে। এরপর স্ব স্ব জেলা পুলিশের সহায়তায় তাদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। রোগীদের অবস্থান শনাক্তের পর নিজ নিজ জেলার সিভিল সার্জনের সহায়তায় অ্যাম্বুলেন্সে করে সোমবার রাতেই তাদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়েছে।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক দিলীপ কুমার রায় বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে না বলে চলে যাওয়া ভারতফেরতসহ ১০ জন করোনা রোগীকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। সোমবার বিকাল থেকে তাদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং সর্বশেষ রোগী রাত দুইটায় হাসপাতালে এসে পৌঁছায়।’

ফেরত আসা ১০ রোগী হলেন,

ভারত থেকে আসা সাত রোগী হলেন যশোর শহরের পশ্চিম বারান্দিপাড়া এলাকার বিশ্বনাথ দত্তের স্ত্রী মণিমালা দত্ত (৪৯), সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপপাড়া গ্রামের মিলন হোসেন (৩২), কালীগঞ্জ উপজেলার শেফালি রানী সরদার (৪০), রাজবাড়ী সদর উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামের নাসিমা আক্তার (৫০), খুলনা সদর উপজেলার বিবেকানন্দ (৫২), পাইকগাছা উপজেলার ডামরাইল গ্রামের আমিরুল সানা (৫২) এবং রূপসা উপজেলার সোহেল সরদার (১৭)।

এছাড়া অভ্যন্তরীণ রোগী তিন জন হলেন যশোর সদরের পাঁচবাড়িয়া এলাকার রবিউল ইসলামের স্ত্রী ফাতেমা (১৯), একই এলাকার একরামুল কবীরের স্ত্রী রুমা (৩০) এবং ওয়াপদা গ্যারেজ এলাকার ভদ্র বিশ্বাসের ছেলে প্রদীপ বিশ্বাস (৩৭)।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আজকের সর্বশেষ সংবাদ