
দেশচিন্তা ডেস্ক: দিনাজপুরের হিলি থেকে ভোর ৪টা ২০ মিনিটে ধরা হয়েছে তাকে। ভোরে সেখানে যৌথ অভিযান চালায় র্যাব ও পুলিশ। আসাদুল সেখানে কালীগঞ্জ গ্রামে লুকিয়ে ছিলো। তার বাড়ি ঘোড়াঘাট উপজেলার ওসমানপুরে। হিলি থেকে আসাদুলকে নিয়ে রংপুরে রওয়ানা হয়েছে র্যাব । দুপুরে র্যাব দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করা হবে বলে জেলার সাংবাদিকরা ধারণা করছেন।
বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে সরকারি বাংলোতে ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। প্রথমে তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুপুরে বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে নিয়ে আসা হয় রাজধানীর নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে। ঘটনার সময় দৃর্বৃত্তদের বাধা দিতে গিয়ে ওয়াহিদা খানমের বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখও (৭০) আহত হন। তাকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
মাথায় সফল অস্ত্রোপচারে পর, ইউএনও ওয়াহিদা শংকামুক্ত, ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।অস্ত্রোপচার শুরু হয় রাত ৯টায়, ২০ সদস্যের মেডিক্যাল টিমে নেতৃত্ব দেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক ডা. রাজিউল হক। দু’ঘণ্টা পর চিকিৎসকরা জানান, অপারেশন সাকসেসফুল।
এরপর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন অধ্যাপক ডা. জাহেদ হোসেন। তিনি বলেন, আঘাত ছিলো ৯টি স্থানে। মাথার খুলির একটি হাড় ভেঙ্গে মস্তিস্কে ঢুকে গিয়েছিলো, সেটি বের করা হয়েছে। আরও সাত-আটটি হাড় কেটে গিয়েছিলো, সেগুলো জোড়া দেয়া হয়েছে। নাকের নিচে ও চোখের নিচেও আঘাত ছিলো।
তিনি বলেন, ৭২ ঘণ্টার আগে রোগীর অবস্থা সম্পর্কে স্পেসিফিক আর কোনও মন্তব্য করা যাবে না। জ্ঞান ফিরলে আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হবে। শনিবার অফিস টাইমে তার স্বাস্থ্যের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানানো হবে।
এর আগে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ইউএনওদের বাসভবনে আগামী সপ্তাহের মধ্যে আনসার নিয়োগ করা হবে। আহত ইউএনওর সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রাতেই সরকার তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।