
কিশোর গ্যাং কর্তৃক একজন তরুণীকে মারধরের একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। উক্ত ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ক্ষতিগ্রস্থ মোহনা আকতার (২২) ইপিজেড থানায় এসে অভিযোগ করলে শুক্রবার (২৮ আগস্ট) তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়,অভিযোগের ভিত্তিতে তাৎক্ষনিক ইপিজেড থানার মামলা নং-২১, তারিখ-২৬/০৮/২০২০ ইং, ধারা-ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর ২৫/৩৫, তৎসহ ১৪৩/৪৪৮/৩২৩/৫০৬ পেনাল কোড রুজু করা হয়।
মামলা রুজুর পর উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর), সিএমপি, চট্টগ্রাম মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম এর দিকনির্দেশনায়, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর), পংকজ বড়ুয়া এর তত্ত্বাবধানে, সহকারী পুলিশ কমিশনার (বন্দর), মোঃ কামরুল হাসান এর তদারকিতে ইপিজেড থানার অফিসার ইনচার্জ উৎপল বড়ুয়া ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ হোছাইন’দ্বয়ের নেতৃত্বে ইপিজেড থানার চৌকশ অফিসারদের সমন্বয়ে গঠিত টিম ইপিজেড সিএমপি’র বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মামলার ঘটনার মূল হোতা ১। সাখাওয়াত (২৪), পিতা-মোঃ সিরাজুল ইসলাম, মাতা-খাদিজা বেগম, সাং-নয়া বাজার, থানা-হালিশহর, জেলা-চট্টগ্রাম, ২। মোঃ লামিম শাওন (২০), পিতা-মোঃ আজিবুর রহমান, মাতা-নাজমা আইরিন, সাং-উত্তর ফুলহাতা, জমাদ্দার বাড়ী, ডাকঘর-ফুলহাতা, থানা-মোড়লগঞ্জ, জেলা-বাগেরহাট, বর্তমান-ইস্ট কলোনী, ব্লক-ও, বাসা নং-ঙ, ৩য় তলা, থানা-বন্দর, জেলা-চট্টগ্রাম, ৩। তাহমিনা সিমি (১৮), পিতা-মোঃ কামাল হোসেন, মাতা-মোছাঃ সালেহা বেগম, সাং-ধনপতি, বোয়ালখালী, ডাকঘর-মুন্সিরহাট, থানা ও জেলা-চাঁদপুর, বর্তমান-সিমেন্ট ক্রসিং, গাউসিয়া ভবন, বড়বাড়ী, থানা-ইপিজেড, জেলা-চট্টগ্রামদেরকে গ্রেফতার।
এই ব্যাপারে ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উৎপল বড়ুয়া জানান, ভিকটিম মোহনা আক্তার আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, তার ফেসবুক বন্ধু মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন আইডিধারী আসামি সাখাওয়াত (২৪) গত সপ্তাহ খানেক যাবৎ ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে বিভিন্ন রকম মানহানীকর ও বিব্রতকর এবং অশ্লীল কথাবার্তা সম্বলিত ম্যাসেজ তাকে পাঠায়।
তিনিও উক্ত ম্যাসেজের জবাব দিতে থাকেন। একপর্যায়ে আসামি সাখাওয়াত তাকে দেখে নিবে হুমকি প্রদান করে। গত ২৪/০৮/২০২০ ইং তারিখ বিকাল অনুমান ০৪.০০ ঘটিকার সময় আসামিরা ইপিজেড থানাধীন কসাইগলিস্থ নুর আলম সওদাগর বিল্ডিং এর বাসায় গিয়া তাকে মারধর করে এবং মারধরের ভিডিও ধারণ করে আর যাওয়ার সময় হুমকি প্রদান করে, উক্ত ঘটনা বিষয়ে বাড়াবাড়ি করলে মারধরের ভিডিওটি ফেসবুক-এ ভাইরাল করে দিবে।
পরবর্তীতে আসামিগণ মারধরের ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল করে তার ও তার পরিবারের সদস্যদের মান-সম্মান ক্ষুন্ন করে। ও সি উৎপল বড়ুয়া আরও জানান, আসামীদের ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং অন্যান্য জড়িত আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান ও মামলার তদন্ত অব্যাহত আছে।