
করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কার মধ্যে চট্টগ্রামে ১৫ হাজার নির্বাচন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শুরু করেছে কমিশন। আগামী ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নির্বাচন উপলক্ষে এই প্রশিক্ষণ। তবে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রশিক্ষণার্থীরা।
২০ মার্চ শুক্রবার তিন হাজার কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় বলে জানান, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রশিক্ষণার্থী বলেন, ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যেখানে ১০ জনের বেশি লোকের সমাগম নিষিদ্ধ করেছে, সেখানে নির্বাচন কমিশনের এই প্রশিক্ষণ আয়োজন করা উচিত হয়নি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক প্রশিক্ষণার্থী বলেন, ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে সরকারের পক্ষ থেকে যেখানে বাসায় থাকার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। গণজমায়েত, সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। সেখানে নির্বাচন কমিশনের এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন অযৌক্তিক। এই প্রশিক্ষণ আয়োজনের মাধ্যমে কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে সেই দায় নির্বাচন কমিশনকেই নিতে হবে। প্রশিক্ষণের পর মক ভোটিং বা ট্রায়াল নির্বাচন করা হবে। সেখানে জনসমাগম হতে পারে। তাই করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কাও থাকছে। তাই বৃহত্তর স্বার্থে নির্বাচন কমিশন এই নির্বাচন স্থগিত করুক।’
এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের প্রশিক্ষণটা ইনডোরে হচ্ছে। যারা প্রশিক্ষণার্থী আছেন, আমরা তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। তাদের হ্যান্ডওয়াশ করিয়ে কর্মশালায় প্রবেশ করানো হচ্ছে। মাস্ক দেওয়া হচ্ছে। তিন হাজার কর্মকর্তাকে চারটি প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি কক্ষে ২৫ জন করে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন বিষয়ে সিদ্ধান্ত দুই বা এক দিনের মধ্যে আসবে। কিন্তু আমাদের যে সময় আছে, সেই সময়ের মধ্যে সব প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। কমিশন থেকে সিদ্ধান্ত আসার আগে হঠাৎ করে কিছু বন্ধ করে দিতে পারবো না। যখন যে আদেশ আসবে, তখন সেটি বাস্তবায়ন করবো।’