টঙ্গীতে বিউটি পার্লারের এক কর্মীকে (১৬) সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের অভিযোগে চার তরুণকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাতে টঙ্গীর চেরাগ আলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গ্রেফতার চার তরুণ পেশায় ট্রাক শ্রমিক বলে জানিয়েছে পুলিশ।
চার তরুণের মধ্যে রয়েছে মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার সদরামপুর গ্রামের মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে নয়ন (১৮), বরিশাল জেলার মেহেদীগঞ্জ উপজেলার বাবুগঞ্জ গ্রামের মৃত আকরাম হোসেনের ছেলে শাহাব উদ্দিন (২০), জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জ উপজেলার জিন্নাবাজার এলাকার মৃত বিল্লাল মন্ডলের ছেলে বাবু মন্ডল (২০) ও ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে তোফাজ্জল হোসেন (১৯)।
পার্লার কর্মীর বাবা জানান, তিনি টঙ্গী আরিচপুরের মিরাশ পাড়া এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তার মেয়ে টঙ্গীর ভরান এলাকার একটি বিউটি পার্লারে কাজ করেন। সে শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে প্রতিবেশী এক ছোট ভাইকে নিয়ে টঙ্গীর চেরাগআলী মার্কেট এলাকার একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে যায়। সেখান থেকে রাত পৌনে ১২টার দিকে প্রতিবেশী ছোট ভাইকে নিয়ে অটোরিকশা যোগে বাসায় ফিরছিল। টঙ্গীর ফাইসন্স রোডের হক মোড়ে পৌঁছালে অভিযুক্ত ট্রাক শ্রমিকেরা তার অটোরিকশার গতিরোধ করে। এসময় তারা সঙ্গে থাকা ছোট ভাইকে নামিয়ে পাশের একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে ফেলে। পরে ওই কিশোরীকে কারখানার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের ওপর উঠিয়ে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে অভিযুক্তরা।
টঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে অটোরিকশা চালক থানায় এসে ঘটনা জানায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীকে উদ্ধার ও তার ভাইয়ের বাঁধন খুলে মুক্ত করে। পরে তাদেরকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা শনিবার বিকালে টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত চার তরুণকে ঘটনাস্থল ও আশপাশ থেকে তাৎক্ষণিক আটক করা হয়। অভিযুক্তরা ট্রাক শ্রমিক এবং তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।