বিএনপি ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘বিএনপির এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে কেন্দ্র পাহারায় থাকবে।’
বৃহস্পতিবার ৩০ জানুয়ারী ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভাশেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন নিয়ে বিএনপির বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি নেতারা স্বভাবসুলভ মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করছেন। যা সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করছে। এটি ভীতিসঞ্চারের মাধ্যমে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ অপচেষ্টা। দলটি নির্বাচনের পরিবেশ নষ্টের প্রত্যক্ষ উসকানি দিচ্ছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি ঢাকার বাইরে থেকে প্রচুর বহিরাগতকে ঢাকায় এনে জড়ো করেছে। এর মধ্যে দাগি আসামি, চিহ্নিত সন্ত্রাসীও রয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে পাঁচ শ’র মতো বহিরাগতকে দিয়ে নির্বাচনি কেন্দ্রগুলোতে হট্টগোল পাকিয়ে বিএনপি নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে। এ কারণে আমরা সাংগঠনিক প্রস্তুতি নিচ্ছি, যেন জনগণ নির্ভয়ে ভোট দিতে পারে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখানে প্রতিপক্ষের সঙ্গে কোনও রকমের সংঘাত-সংঘর্ষে যাবো না।’
ইভিএম প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কারচুপি ঠেকানের কৌশল হিসেবে ইভিএম হচ্ছে উত্তম ব্যবস্থা। বিএনপি বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করতেই পারে। কারণ, দলটি এখনও এনালগে রয়ে গেছে । আর নির্বাচন বলতে বিএনপি যে কেন্দ্রদখল, ভোট কারচুপি বোঝে, সেই সুযোগ ইভিএমএ নেই। এটিই বিএনপির মূল ভয়ের কারণ।’
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন শফিক, প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, শিক্ষা ও মানব সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, আইন সম্পাদক নজিবুল্লা হিরু, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আব্দুস সবুর, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হারুনুর রশিদ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকী, উপদফতর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় সদস্য রিয়াজুল কবির কাওসার, শাহাবউদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।