আজ : রবিবার ║ ২১শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ : রবিবার ║ ২১শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║৬ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ║ ১লা রজব, ১৪৪৭ হিজরি

হাদির হত্যকারীদের অবস্থান সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই: পুলিশ

দেশচিন্তা ডেস্ক: ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির হত্যকারীরা কোথায় আছে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই বলে জানিয়েছে পুলিশ।

রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ ২ ও দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অগ্রগতির বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন বিভাগের মুখপাত্ররা।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত আইজিপি রফিকুল ইসলাম বলেন, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকারীর অবস্থান সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। তবে তদন্তে গুরুত্ব দিয়ে খুনিকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

র‍্যাবের মুখপাত্র (আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক) উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী বলেন, হাদির হত্যাকারী ফয়সাল ঘটনার দিন নরসিংদী গ্রিনজোন রিসোর্ট থেকে আগারগাঁও বোনের বাসায় আসেন। ফয়সালের শ্যালকে শিপুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়। হাদিকে হত্যাচেষ্টার পর পিস্তলের ব্যাগ বাবাকে দেয়, বাবা শিপুকে দেয়, শিপু তার বন্ধু মোহাম্মদ ফয়সালকে দেয়। ফয়সাল ভয়ে ব্যাগটি বিলে ফেলে দেয়।

বিজিবি ময়মনসিংহ রিজিয়নের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, যখন আমরা খবর পাই হত্যাকারী ময়মনসিংহ এসেছে, তখন সারারাত অপারেশন পরিচালনা করি অন্য ফোর্স সঙ্গে নিয়ে। ফিলিপের কল হিস্ট্রি ধরে আমরা অভিযানে যাই। তবে সে রাতে আমরা ফিলিপকে পাইনি। ফিলিপকে ধরার জন্য আমরা সর্ব শক্তি প্রয়োগ করেছি। সে সীমান্তে মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত। সীমান্তের কাছাকাছি যারা অবস্থান করে তারা অধিকাংশ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকে। ফিলিপের পাশাপাশি জেমি চিসিং এবং আরও একজন নজরদারিতে আছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা ফয়সাল ও আলমগীরকে গ্রেফতার করতে পারিনি। অপরাধীরা নিজের অবস্থান সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেয় না। তারা সবাইকে বিভ্রান্ত করে থাকে। ফয়সালের বাবা মোটরসাইকেলের নম্বর প্লেট পরিবর্তন করেছিল। পরে যাচাই করে আসল নম্বর প্লেটের সন্ধান পেয়েছি। বিআরটিএতে খোঁজ ও অন্যান্য প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আমরা এসব তদন্ত করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, খুনিকে ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে, গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত চলছে। মোট ১০ জন গ্রেফতার হয়েছে এখন পর্যন্ত। মোটরসাইকেলের মালিককে ৫৪ ধারায় অভিযোগ থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যাদের নাম আসছে তাদের সবাইকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, উদ্ধার করা চেকগুলো বিভিন্ন ব্যক্তির নামে। কোনো অ্যাকাউন্টে টাকা নেই। যাদের চেক তারা তারিখ ছাড়া সাইন করে রেখেছিল। আমরা অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে খোঁজ খবর নিচ্ছি।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আজকের সর্বশেষ সংবাদ