
দেশচিন্তা ডেস্ক: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, শহীদ শরিফ উসমান হাদী রহিমাহুল্লাহ্ ছিলেন চব্বিশের ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নায়ক। বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের সুরক্ষা, গণতান্ত্রিক উত্তরণ এবং ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ কায়েম করে সকলের নাগরিক অধিকারের নিশ্চিয়তা বিধানের আন্দোলনে তিনি ছিলেন অগ্রসেনানী। ন্যায়ের আদেশ ও অন্যায় প্রতিরোধে (আমর বিল মা’রুফ ওয়ানেহি আনিল মুনকার) তিনি ছিলেন অকুতোভয় বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর। আল্লাহ্ তাঁর শাহাদাতকে উত্তমভাবে কবুল করুন। শোকাহত মা, বিধবা স্ত্রী, সাত মাসের একমাত্র ছেলে, ভাই-বোনসহ আত্মীয় পরিজনকে ধৈর্য ধরার শক্তি দিন, নিরাপত্তা দিন, উত্তম রিজিকের ব্যবস্থা করে দিন। আমিন।
আজ শনিবার (সকাল ৬:৪৫ টায়) দেওয়ানবাজারস্থ চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতে কার্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস ও দোয়া মাহফিলে সভাপতি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শরিফ উসমান হাদির মতো জুলাই যোদ্ধাকে কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে প্রশিক্ষিত ও দক্ষ শ্যুটার নিয়োগ দিয়ে দিন-দুপুরে টার্গেট কিলিং জাতীয় নিরাপত্তাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। গোয়েন্দা সংস্থাসহ সরকারের দুর্বলতাকেই উন্মোচিত করেছে। হাদী গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকে পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের প্রতিক্রিয়া, নব্য ফ্যাসিবাদী আচরণকারী একটি বিশেষ দলের সমর্থক, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও বুদ্ধিজীবীদের অস্বাভাবিক বক্তব্য এবং বন্দোবস্ত হারানো আধিপত্যবাদী শক্তির প্রতিক্রিয়া স্টাডি করলে খুনি চক্র সম্পর্কে ধারণা সুস্পষ্ট হচ্ছে। পর্দার অন্তরালে ষড়যন্ত্রকারীসহ পুরো খুনিচক্রকে আইনের আওতায় আনতে হবে সরকারকেই।
আজ সকাল ৬:৪৫ মিনিটে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগরীর জামায়াতের পক্ষ থেকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন (অর্ধনমিত) কর্মসূচী পালন করেন।
উক্ত দোয়া মাহফিল শহীদ শরিফ ওসমান হাদীর জন্য দোয়া করা হয়, দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদ্রাসা সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মাওলানা সাইয়েদ মুহাম্মদ আবু নোমান।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহ, মহানগরীর সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মুহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান, মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য হামেদ হাসান ইলাহী, আমির হোছাইন, ফখরে জাহান সিরাজী, চকবাজার থানা আমীর আহমদ খালেদুল আনোয়ার, চকবাজার থানা এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ, কোতোয়ালি থানা এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আ ন ম জোবায়ের প্রমুখ।










