আজ : সোমবার ║ ১৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ : সোমবার ║ ১৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║৩০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ║ ২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

গণমাধ্যম ও সংবাদকর্মীদের উন্নয়নে ৩ আইন করে যেতে চান তথ্য উপদেষ্টা

দেশচিন্তা ডেস্ক: দেশের গণমাধ্যম ও সংবাদকর্মীদের উন্নয়নে তিনটি আইন করে যেতে চান বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

তিনি বলেন, ‘তিনটি আইন নিয়ে আমি কাজ করবো। শুরু করবো আমার জায়গা থেকে। তারপর এটি উপদেষ্টামণ্ডলীর সিদ্ধান্ত। পরে রাজনৈতিক সরকার এসে ধারাবাহিকতা রাখবে কি না সেটি তাদের সিদ্ধান্ত। কিন্তু কাজগুলো আমি আমার মতো করে করার চেষ্টা করবো।’

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর তথ্য ভবনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ। উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ প্রমুখ।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়া উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘চেষ্টা করবো সম্প্রচার নীতিমালা নিয়ে কাজ করতে। তবে নীতিমালার তো আসলে কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। আমরা সম্প্রচার নির্দেশিকা ও সম্প্রচার কমিশন আইন, এরকম একটা কিছু করা যায় কি না সেই চেষ্টা করবো। চেষ্টা করবো কোনো একটি গণমাধ্যমকে সরকারি গণমাধ্যমের স্বায়ত্তশাসিত আইনগত ভিত্তিতে তৈরি করা যায় কি না। গণমাধ্যম কমিশনের কথাও বলা হচ্ছে।’

গণমাধ্যম ও সংবাদকর্মীদের উন্নয়নে ৩ আইন করে যেতে চান তথ্য উপদেষ্টা

উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা অনেক সময় স্বাধীন শব্দটার প্রতি খুবই ঝুঁকে পড়ি। স্বাধীন বললেই কি মানুষ স্বাধীন হয়? নামের আগে স্বাধীন লিখলেই কি স্বাধীন হয়ে গেল? আপনার গঠন ও কাজগুলো এমনভাবে ডিফাইন করতে হবে যেটা আসলে সমাজে একটা তাৎপর্য রাখবে।’

রিজওয়ানা হাসান মনে করেন, গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় গণতন্ত্রের কথা বিবেচনা করেই সাংবাদিকদের সুরক্ষা দিতে হবে। একই সঙ্গে সাংবাদিক এবং সাংবাদিকতাকেও এটি মনে রাখতে হবে, সমাজ যেন সবসময় এ সুরক্ষার পক্ষে থাকে।

সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টকে সরকারের দেওয়া অনুদান থেকে যেন ২৫ শতাংশ কমিশন কেটে নেওয়া না হয় সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেবেন বলে জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘আমি এখানে বসেই এটি জানিয়েছি আমার মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়কে। ১০ কোটি টাকা থেকে ২৫ শতাংশ কেটে নেওয়া ঠিক নয়।’

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের দ্বিতীয় কিস্তিতে সোমবার ১৬৮ জনকে এক কোটি এক লাখ টাকার অনুদান দেওয়া হয়।

ট্রাস্ট জানায়, চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে দুই কিস্তিতে ৬৭৭ জন সাংবাদিক বা সাংবাদিক পরিবারকে চার কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ ও বরাদ্দ করা হয়েছে। ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত কল্যাণ অনুদান ও বৃত্তি হিসেবে ১৫ হাজার ৬৯৫ জন সাংবাদিক বা পরিবারকে মোট ৫৬ কোটি ৮৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকার অনুদান বা অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হয়েছে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আজকের সর্বশেষ সংবাদ