
চট্টগ্রাম মহানগরী সহ সারাদেশে গায়েবী মামলা, গণ গ্রেপ্তার, আগামী ৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটায় লালদিঘী মাঠে জনসভা ও বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে গত ২৯ সেপ্টম্বর শনিবার সকাল ১১ টায় কাজীর দেউড়ি নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডাঃ শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, আজ যে বিষয়টি অবহিত করতে আপনাদের সম্মুখে হাজির হয়েছি তা হচ্ছে, বিনাভোটে স্বনির্বাচিত ক্ষমতালিপ্সু সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের গুম, খুন, মামলা হামলার পর এখন নতুন এক কৌশলে গায়েবী মামলা দিয়ে হয়রানির পথ বেছে নিয়েছে। প্রতিহিংসার বশবর্তি হয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রনোদিত এক সাজানো মামলায় ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা অভিযোগে অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে নির্জন কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। অসুস্থ দেশনেত্রীর সুচিকিৎসার ব্যবস্থা না নিয়ে সরকার তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সর্বোচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পরও সরকারী নির্দেশে তাকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে না।
অনুগত নির্বাচন কমিশন এবং প্রশাসনের সহায়তায় জাতীয় সংসদসহ সবগুলো গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে দখল করে রেখেছে সরকার। ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য রাষ্ট্রীয় সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং জনগণের মত প্রকাশের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে হুমকীর মুখে পদত্যাগ ও দেশত্যাগে বাধ্য করে গোটা বিচার বিভাগকে অনুগত করার অভিযোগে আজ বর্তমান সরকার দেশবাসীর কাছে অভিযুক্ত। সরকারের অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে কথা বলা কিংবা লেখালেখি আজ বিরোধী দল ও সচেতন জনগণ এমনকি লেখক সাংবাদিকদের জন্য শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সরকার আসন্ন নির্বাচনের আগে তাদের এমপি মন্ত্রীদের বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি ও লুটপাটের কাহিনী প্রকাশ করতে না পারার জন্য দুরভিসন্ধিমূলকভাবে গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাশ করেছে। এই আইনের মাধ্যমে সরকার গণমাধ্যমের টুটি চেপে ধরেছে। আমরা এই আইন বাতিল করার দাবী জানাচ্ছি।
দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে বন্দি করার পর এদেশের তারুণ্যের প্রতীক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলায় ফাঁসানোর অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এই ঘটনার সাথে তারেক রহমানকে জড়ানোর জন্য আওয়ামী মদদপুষ্ট অবসরপ্রাপ্ত সাবেক এক গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে পুনরায় চাকুরীতে পুনর্বহাল করে তার মাধ্যমে সম্পূরক চাজীশীটে তার নাম অন্তর্ভূক্ত করা হয়। আমরা এইসব ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মাহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান, সহ- সভাপতি এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, ইসকান্দর মির্জা, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, আব্দুল মান্নান, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আনোয়ার হোসেন লিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, বাণিজ্য সম্পাদক হেলাল চৌধুরী, থানা বিএনপির সভাপতি মঞ্জুর রহমান চৌধুরী, মোশারফ হোসেন ডিপ্তী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, সাইফুর রহমান বাবুল, কাউন্সিলর মুহাম্মদ আজম, মোঃ হানিফ সওদাগর, সরফরাজ কাদের রাসেল, নগর বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক মোঃ ইদ্রিস আলী, নগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরী, থানা বিএনপির সম্পাদক হাজী মোঃ বাদশাহ মিয়া, আব্দুল কাদের জসিম, রোকন উদ্দিন মাহমুদ, নগর সেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, তাঁতী দলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম প্রমূখ।