
দেশচিন্তা ডেস্ক: ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ফ্যাসিস্ট হাসিনার দু:শাসনের স ময়কালে পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যুর ঘটনা অতীতের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যায়। বর্তমান সরকারের আমলে এ ধরণের নির্যাতনের ঘটনা কমলেও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। পুলিশ প্রশাসনে আওয়ামী অফিসারেরা বহাল থাকায় এ ধরণের ঘটনা ঘটছে। তারাই এ ধরণের ঘটনাগুলো ঘটিয়ে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে চায়। সরকারের উচিত এসব ঘটনা শূণ্যের কৌটায় নামিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া।
২৫ অক্টবর (শনিবার) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের একটি হোটেলে মানবাধিকার সংগঠন “অধিকার’’ আয়োজিত “কনভেনশন এগেইস্ট টর্চার এণ্ড অপশনাল প্রটোকল টু দ্য কনভেনশন এগেইনস্ট টর্চা” বিষয়ক সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
সঞ্চালনা করেন পরিচালক এস এন নাসির উদ্দিন এলাম। এতে মূল তথ্য উত্থাপন করেন অধিকারের পরিচালক তাসকিন ফাহমিনা। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ নুরুল আমিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডীন ড.এনায়েত উল্লাহ পাটোয়ারী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি, এনসিপি নেতা রাফসান জনি, অধিকার এর চট্টগ্রামের ফোকাল পারসন ওচমান জাহাঙ্গীর, এডভোকেট জিয়া হাবিব আহসান, জেএসডি (রব) এর নেতা মোস্তাবা কামাল, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সেক্রেটারি সবুর শুভ, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনয়িনের রফিকুল ইসলাস সেলিম, আমার দেশের ব্যুরো প্রধান সোহাগ কুমার বিশ্বাস, পুলিশ কমিশনার সিএমপি প্রতিনিধি ফয়সার আহম্মেদ (ডিসি), ডিআইজি চট্টগ্রাম রেঞ্জ এর প্রতিননিধি একরামুল হোসেন পিপিএম, জেলা পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি মোঃ রাসেল এডিশনাল এসপি, ডিপুটি জেলায় মো: রাকিব শেখ,
সাংবাদিক কামাল পারভেজ তুষার মুজিব,মীর বরকত, ইমরান সোহেল,অভিলাষ মাহমুদ,রোকেয়া বেগম মানবাধিকার কর্মী ইঞ্জিনিয়ার মো: মোমেন, হিউম্যান রাইট ডিফেন্ডার (অধিকার) মো মুজিব উল্ল্যাহ্ তুষার, মো: জিয়া উদ্দিন, শাহ জালাল, রোকেয়া বেগম,,মীর বরকত, ইমরান সোহেল,অভিলাষ মাহমুদ,সহ আইনজীবী, সাংবাদিক, রাজনৈতিক কর্মী, পরিবেশ কর্মী ও হেফাজতে নির্যাতনে অঙ্গ হারানো ভুক্তভোগীরা। সভায় বক্তারা বলেন, বড় দলগুলোর রাজনীতিবিদদের রাজনৈতিক স্বদিচ্ছা ফিরে না আসলে নির্যাতনের ঘটনা কখনও কমবে না। অতিতে যা হয়েছে আগামীতেও তা চলবে, বর্তমানে চলছে। শুধু পুলিশ কাস্টডিতে নির্যাতন ও মৃত্যু নয়, কারাগারেও মৃত্যু হচ্ছে। সেখানে বন্দিদের উপর মানবাধিকার লঙ্গন করা হয়। তাদেরকে ঠিকমতো খেতে দেওয়া হয়না। ভালোমতো থাকতে দেওয়া হয়না। এছাড়াও বন্দিদের উপর রাতদিন নির্যাতন করা হয়। তাদেরকে বেত্রাঘাতের মতো নানারকম শাস্তি দেওয়া হয়। বক্তারা আরও বলেন, রাজনীতিবিদরাই পুলিশের উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তার করে থাকে। এজন্য পুলিশ সংস্কার করতে হবে। পুলিশকে যুগের পর যুগ একটি রাজনৈতিক গন্ডির মধ্যে রেখে দেওয়া হচ্ছে। দেশের সচেতন মানুষ ও পুলিশ কর্মকর্তারা সংস্কার চাইলে অনেকেই তা চাইনা। পুলিশকে রাজনৈতিকভাবেই ব্যবহার করা হচ্ছে আগের মতো, তাদেরকে গোলাম বানিয়ে রাখতে চায় একটি মহল। অধিকার এর পরিচালক তাসকিন ফাহমিনা জানান, গত এক বছরের পুলিশ হেফাজতে ১৪টি মৃত্যু হয়েছে নির্যাতনের কারণে। বাংলাদেশ সরকার গত ১৭ জুলাই কনভেনশন এগেইনস্ট টর্চার সনদ ১৯৯৮ সালে অনুসাক্ষর করে। সেখানে কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল। তাছাড়া হেফাজতে নির্যাতন বিরোধী আইন ২০১৩ সালেই পাশ হয়েছে। কিন্তু হাসিনা সরকার বাস্তবায়ন করেনি। কিন্তু বর্তমানে একটি ন্যাশনাল প্রিভেনন্টিভ ম্যাকানিজম তৈরি করার জন্য অন্তর্বর্তীকালিন সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। সাক্ষর যেহেতু করেছে সরকার সেহেতু সেটা সরকারকে অবশ্যই করতে হবে। এতে জেলখানায় নির্যাতনের ঘটনা ও মানবাধিকার লঙ্গনের ঘটনা কমে আসবে। জেলাখানা ও থানায় কি হচ্ছে সেগুলো মনিটরিং করা হবে। এতে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা ফিরে আসবে। আমরা আশা করি এ ধরণের নির্যাতন যেন আমাদের দেশে না হয় এবং আমরা সাধারণকে ও দায়িত্বশীলদেরকে এ ব্যাপারে আমরা সচেতন করতে চাই। তারা যেন আরও আন্তরিক হয়। আমাদের দেশের পুলিশের ব্যবহার যেন আরও পেশাদার হয় ও অপশনাল প্রটোকল কিভাবে ব্যবহার করতে হবে তা নিয়ে কাজ করছি। আমরাও সেটির জন্য সরকারকে সাজেশন দিচ্ছি।











