আজ : সোমবার ║ ২৭শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ : সোমবার ║ ২৭শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║১১ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ║ ৫ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

গাজায় কোন দেশ সৈন্য পাঠাবে তা নির্ধারণ করবে ইসরায়েল

দেশচিন্তা ডেস্ক: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধের অবসানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা বাহিনীতে কোন দেশের সৈন্য থাকবে, সেই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কেবল ইসরায়েল। রোববার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে গাজায় বিদেশি সৈন্যদের শান্তিরক্ষা কাজে নিযুক্ত করার এখতিয়ার নিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে, আরব কিংবা অন্য দেশগুলো এই বাহিনীতে সেনা পাঠাতে রাজি হবে কি না, সেটি এখনও পরিষ্কার নয়। তবে ইসরায়েল গাজায় শান্তিরক্ষা বাহিনী গঠনের ধরন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। যদিও ট্রাম্প প্রশাসন ইতোমধ্যে বলেছে, গাজায় মার্কিন সৈন্য পাঠানো হবে না। বিদেশি এই বাহিনীতে মিসর, ইন্দোনেশিয়া এবং উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর সৈন্যরা থাকবেন।

নেতানিয়াহু বলেছেন, আমরা আমাদের নিরাপত্তার নিয়ন্ত্রণে আছি এবং আন্তর্জাতিক বাহিনীর ক্ষেত্রেও আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, ইসরায়েলই ঠিক করবে কোন দেশের সৈন্যরা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা এভাবেই কাজ করছি এবং ভবিষ্যতেও করব।

‌‌‘‘এটি অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের কাছেও গ্রহণযোগ্য, যেভাবে তাদের শীর্ষ প্রতিনিধিরা গত কয়েক দিনে আমাদের জানিয়েছেন।’’

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের হামলার পর ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। ইসরায়েল গত দুই বছর ধরে গাজা উপত্যকায় অবরোধ জারি রেখেছে এবং ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির পরও স্থল ও আকাশপথে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। অঞ্চলটির সব প্রবেশপথের নিয়ন্ত্রণ এখনও ইসরায়েলের হাতে রয়েছে।

• গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনীতে তুরস্কের অংশগ্রহণে আপত্তি ইসরায়েলের

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গত সপ্তাহে ইঙ্গিত দিয়ে বলেছিলেন, গাজা উপত্যকায় তুর্কি নিরাপত্তা বাহিনীর যেকোনও ধরনের ভূমিকায় তিনি আপত্তি জানাবেন। অতীতে তুরস্ক–ইসরায়েলের মাঝে উষ্ণ সম্পর্ক থাকলেও গাজা যুদ্ধের সময় তা তলানিতে নেমেছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান ইসরায়েলের বিধ্বংসী স্থল ও বিমান হামলার তীব্র সমালোচনা করেছেন।

শুক্রবার ইসরায়েল সফররত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠিত হতে হবে এমন দেশগুলো নিয়ে, যাদের উপস্থিতিতে ইসরায়েল স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। তবে তুরস্কের সম্পৃক্ততা নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।

রুবিও বলেন, গাজার ভবিষ্যৎ শাসনব্যবস্থা নিয়ে ইসরায়েল ও অংশীদার দেশগুলোকে এখন সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে। তবে এতে হামাস থাকতে পারবে না। পরে তিনি বলেন, গাজায় বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েনের অনুমোদন দিতে জাতিসংঘের প্রস্তাব কিংবা আন্তর্জাতিক চুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে মার্কিন কর্মকর্তারা বিভিন্ন পক্ষের মতামত নিচ্ছেন। রোববার কাতারের রাজধানী দোহায় এই বিষয়ে আলোচনা করবেন তারা।

গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনের এই উদ্যোগে আরব দেশগুলোর অর্থ ও সৈন্য চায় ট্রাম্প প্রশাসন। রোববার নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘‘ইসরায়েল একটি স্বাধীন দেশ’’ এবং ‘‘আমেরিকান প্রশাসন আমাকে নিয়ন্ত্রণ কিংবা ইসরায়েলের নিরাপত্তানীতি নির্ধারণ করে’’ এমন ধারণা প্রত্যাখ্যান করেন তিনি।

সূত্র: রয়টার্স।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আজকের সর্বশেষ সংবাদ