
দেশচিন্তা ডেস্ক: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড রাইজ দ্রুতই বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের পছন্দের এআই হাবে পরিণত হচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার শক্তিকে কাজে লাগিয়ে প্ল্যাটফর্মটি তরুণদের শেখা, সৃষ্টি ও আত্মপ্রকাশের নতুন দিগন্তে উন্মোচিত করেছে। গত বছর বাংলালিংক চালু করা এই প্ল্যাটফর্মটি অল্প সময়ের মধ্যেই তরুণদের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ও প্রাণবন্ত ডিজিটাল সহযাত্রীতে পরিণত হয়েছে, যেখানে প্রযুক্তি শুধুই একটি মাধ্যম নয়, বরং স্বপ্নপূরণের সঙ্গী।
প্রযুক্তিনির্ভর ভবিষ্যতের জন্য তরুণদের প্রস্তুত করে তুলতে নিজেদের লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন টুলস নিয়ে এসেছে ডিজিটাল লাইফস্টাইল প্যাক রাইজ। রাইজের এআই টুলসের মাধ্যমে কথা বলার দক্ষতা থেকে শুরু করে চাকরির উপযোগী সিভি তৈরি করতে পারছেন তরুণেরা। ক্রমবর্ধমান সক্রিয় ব্যবহারকারী নিয়ে রাইজের যাত্রা বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরের যাত্রায় নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে, যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শুধু বাড়তি সুবিধাই নয়, পাশাপাশি সৃজনশীল সহযোগী হিসেবে তরুণ প্রজন্মের ক্ষমতায়নে ও নিজেদের স্বনির্ভর আত্মপ্রকাশে ভূমিকা রাখছে।
সম্প্রতি, চালু করা রাইজের ফিচারগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ভোকালাইজ, যা দেশের প্রথম এআই স্পিকিং কোচ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এটি ব্যবহারকারীদের উচ্চারণ ও টোন আরও পরিশীলিত করতে সহায়তা করছে, ফলে তারা সাক্ষাৎকার, ক্লাস বা উপস্থাপনার আগে আরও আত্মবিশ্বাসীভাবে প্রস্তুত হতে পারছেন।
অন্যদিকে, রাইজের সিভি-রাইজার ফিচার ব্যবহারকারীদের কয়েক মিনিটের মধ্যে সিভি তৈরিতে সাহায্য করছে। অ্যাভাটারাইজ ফিচার ব্যবহারকারীর ব্যক্তিত্ব ও স্টাইল অনুযায়ী ডিজিটাল অ্যাভাটার তৈরি করে দিচ্ছে। রাইজের এ সকল এআই টুলস একসাথে লক্ষাধিক ব্যবহারকারীকে নিজেদের প্রকাশে এবং অনলাইনে তাদের পেশাদার উপস্থিতি তৈরিতে ভূমিকা রাখছে।
তরুণদের দক্ষতার মানোন্নয়নেও ভূমিকা রাখছে রাইজ। রাইজ সামারাইজ, গ্রামারাইজ ও রিউরাইজের মত টুলসের মাধ্যমে পড়াশোনা ও লেখার কাজকে যেমন দ্রুত ও সহজ করছে, তেমনি শিক্ষার্থীদের সময় বাঁচিয়ে কাজের মান উন্নত করতে সহায়তা করছে।
বাংলালিংকের চিফ ডিজিটাল অফিসার গোলাম কিবরিয়া বলেন, “বাংলাদেশের তরুণেরা শুধু কানেক্টিভিটিই নয়, বরং এমন সুযোগ ও টুলের দাবিদার, যা তাদের বড় স্বপ্ন দেখতে, সাহসের সাথে এগিয়ে যেতে এবং বর্তমানের ডিজিটাল যুগে নিজেদের সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে অনুপ্রাণিত করবে।” তিনি আরও বলেন, “রাইজের মাধ্যমে আমরা প্রযুক্তিগত সেবাদানের বাইরে গিয়ে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছি, যার মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তরুণদের শেখা, সৃষ্টি ও আত্মবিশ্বাসের সাথে নিজেদের প্রকাশে সহায়তা করবে। রাইজ মূলত একটি প্রজন্মকে নতুন উচ্চতায় পোঁছাতে অনুপ্রাণিত করছে। কারণ, আমরা জানি, যখন তরুণরা উঠে দাঁড়ায়, তখন গোটা দেশ এগিয়ে যায়।”
রাইজের লক্ষ্য তরুণদের দৈনন্দিন জীবনে এআই প্রযুক্তিনির্ভর ফিচার যুক্ত করার মাধ্যমে তাদের সম্ভাবনা উন্মোচনে ভূমিকা রাখা। যে কারণে টেলিকো-নিরপেক্ষ ডিজিটাল অ্যাপ হিসেবে যাত্রা শুরু করে রাইজ এবং ব্যবহারকারীরা যেকোন নেটওয়ার্কেই অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারবেন।