আজ : রবিবার ║ ১৯শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ : রবিবার ║ ১৯শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║৩রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ║ ২৭শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

সালাউদ্দীন আলীকে গ্লোবাল হিউম্যান পিস ইউনিভার্সিটির ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান

দেশচিন্তা ডেস্ক: হসপিটালিটি ও হেলথ কেয়ার খাতে অসামান্য উদ্যোগের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি
হসপিটালিটি ও হেলথ কেয়ার শিল্পে উদ্ভাবনী ধারণা, আধুনিক ব্যবস্থাপনা, সেবায় মানবিকতা সংযোজন এবং আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিতকরণে অনন্য ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশি প্রখ্যাত উদ্যোক্তা সালাউদ্দীন আলীকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করেছে গ্লোবাল হিউম্যান পিস ইউনিভার্সিটি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই অর্জন শুধু ব্যক্তিগত নয় – বরং বাংলাদেশের জন্যও এক গৌরবের প্রতীক হিসেবে মূল্যায়িত হচ্ছে।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর ২০২৫) শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার বিএমআইসিএইচ (BMICH) হলে আয়োজিত এক বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সালাউদ্দীন আলীর হাতে ডক্টরেট ডিগ্রির সম্মাননা তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষাবিদবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে শ্রীলঙ্কা, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের আমন্ত্রিত অতিথি, নীতিনির্ধারক, গবেষক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিতদের মধ্যে ছিলেন—

শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মৈত্রীপালা সিরিসেনা, শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি ক্রিকেটার চামিন্দা ভাস, ভারতীয় হলিউড অভিনেতা আলী, ড. এমার জিত সিং, মি. জাকির হোসেন, আজোরা শর্মা
এবং পাকিস্তান হাইকমিশন বাংলাদেশ কালচারাল উইং-এর সদস্য মাসুম বিল্লাল ফারদিন প্রমুখ।

ব্যবসায়িক দক্ষতা, গ্রাহককেন্দ্রিক পরিষেবা, প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবস্থাপনা ও মানবিক মূল্যবোধের প্রশংসনীয় সংমিশ্রণের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে এই দু’টি খাতে কাজ করে চলেছেন সালাউদ্দীন আলী।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের মূল্যায়নে বলেন—“হেলথ কেয়ার ও হসপিটালিটির মতো মানবসেবাধর্মী শিল্পে আন্তর্জাতিক মান প্রতিষ্ঠা করে এবং মানুষের কল্যাণকে লক্ষ্য রেখে ব্যবসা পরিচালনার উদাহরণ তৈরি করেছেন সালাউদ্দীন আলী। তিনি ভবিষ্যৎ উদ্যোক্তাদের জন্য একটি রোল মডেল।

সম্মাননা গ্রহণের পর আবেগঘন প্রতিক্রিয়ায় সালাউদ্দীন আলী বলেন— “আমি গ্লোবাল হিউম্যান পিস ইউনিভার্সিটির কাছে কৃতজ্ঞ। এই স্বীকৃতি আমার দায়িত্ববোধ আরও বাড়িয়ে দিল। আমি বিশ্বাস করি ব্যবসা শুধু মুনাফার বিষয় নয়—মানুষের সেবা, শান্তি ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠাই ব্যবসার প্রকৃত লক্ষ্য। দেশের বাইরে এমন মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি পাওয়া আমার জীবনের অন্যতম বড় অর্জন, যা আমাকে ভবিষ্যতে আরও বড় দায়িত্বে অনুপ্রাণিত করবে।”

অনুষ্ঠানে আলোচকরা মত দেন, সালাউদ্দীন আলীর নেতৃত্ব দেখিয়েছে যে ব্যবসা ও মানবিকতা পাশাপাশি এগোলে দেশের অর্থনীতি, কর্মসংস্থান ও সামাজিক স্বাস্থ্যব্যবস্থায় টেকসই পরিবর্তন সম্ভব।

গ্লোবাল হিউম্যান পিস ইউনিভার্সিটির এই আন্তর্জাতিক সম্মাননার মাধ্যমে বাংলাদেশের হসপিটালিটি ও স্বাস্থ্যসেবা শিল্প বৈশ্বিক মঞ্চে নতুনভাবে চিহ্নিত হলো। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অর্জন ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ, গবেষণা ও সহযোগিতার নতুন দুয়ার খুলে দিতে সহায়তা করবে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আজকের সর্বশেষ সংবাদ