আজ : শনিবার ║ ১৮ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ : শনিবার ║ ১৮ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║২রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ║ ২৬শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

রাকসুর ভিপি-এজিএস শিবিরের, জিএস আধিপত্য বিরোধী ঐক্যের

দেশচিন্তা ডেস্ক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে বেসরকারিভাবে ভিপি (সহসভাপতি) ও এজিএস (সহ-সাধারণ সম্পাদক) পদে বিজয়ী হয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’-এর প্রার্থীরা। অন্যদিকে জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছেন ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের সালাউদ্দিন আম্মার।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক সেতাউর রহমান প্রাথমিক ফলাফল ঘোষণা করেন। তবে চূড়ান্ত ফলাফল এখনো প্রকাশ করা হয়নি।

ভিপি পদে ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’-এর প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান (জাহিদ) পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৮৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলের শেখ নূর উদ্দীন (আবীর) পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৯৭ ভোট।

জিএস পদে ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের সালাউদ্দিন আম্মার পেয়েছেন ১১ হাজার ৪৯৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, শিবির সমর্থিত প্যানেলের ফজলে রাব্বি মো. ফাহিম রেজা পেয়েছেন ৫ হাজার ৭২৭ ভোট।

দুজনই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ছিলেন।
এজিএস পদে ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’-এর এস. এম. সালমান সাব্বির ৬ হাজার ৯৭৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলের জাহিন বিশ্বাস (এষা) পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৫১ ভোট।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯টি ভবনের ১৭টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

দিনভর পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যেও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ভোট গণনা শুরু হয় এবং রাত সাড়ে ১০টা থেকে নারী হলগুলোর ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে, ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টার মধ্যে পুরো ফলাফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে। প্রাথমিকভাবে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের তিনটি, হল সংসদের তিনটি এবং সিনেট ছাত্র প্রতিনিধির পাঁচটি পদের ফল ঘোষণা করা হচ্ছে।

রাকসু নির্বাচনে ১০টি প্যানেলসহ ২৩ পদে ২৪৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

হল সংসদের ১৭টি হলে ১৫ পদে ৫৯৭ জন এবং সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের পাঁচটি পদের জন্য ৫৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। রাকসুতে ভিপি পদে ১৮ জন, জিএস পদে ১৩ জন ও এজিএস পদে ১৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার ৯০১। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ১৭ হাজার ৫৯৬ এবং ছাত্রী ভোটার ১১ হাজার ৩০৫ জন। ভোট পড়েছে ৬৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ। ছয়টি নারী হলে ভোট পড়ার হার ছিল ৬৩ দশমিক ২৪ শতাংশ।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আজকের সর্বশেষ সংবাদ